কুমিলস্নার নাঙ্গলকোট উপজেলার শাকতলী বাজার থেকে তুগুরিয়া পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের উত্তর পাশে ভোলাইন খাল। খালটি আদ্রা উত্তর ও আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নকে বিভক্ত করে। খালের উত্তর পাশে আদ্রা উত্তর ইউনিয়ন ও দক্ষিণ পাশে আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়ন। খালটি দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে দুই ইউপির প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খালটি শাকতলী তুগুরিয়া থেকে মনোহরগঞ্জ সাতেশ্বর-মুন্সীরহাট হয়ে ডাকাতিয়া নদীতে পতিত হয়। তুগুরিয়া থেকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী, লাকসাম থেকে তুগুরিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত এ খাল।
ব্রিটিশ আমলে খালটি ভেরলস্না খাল নামে পরিচিত ছিল। একসময় শাকতলী তুগুরিয়া খাল, পরে ভোলাইন খাল নামে পরিচিত প্রায়। ৬.২ কিলোমিটারের এ খালটিতে আরসিসি পিলার করে কয়েকটি প্রভাবশালী মহল দখল করে শাকতলী, আলীগঞ্জ বাজার, বরইয়ারটেক, ভোলাইন পর্যন্ত ৫ শতাধিক দোকানপাটসহ ব্যাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করে। এতে এলাকার ময়লা আবর্জনা ও কচুরিপানা আটকে দূষিত হয়। টানা বৃষ্টিতে পানি জমে শাকতলী, গোরকাটা, মোলস্নাপাতান, ভোলাইন, আদ্রা, মগুয়া, হিড়াজোড়া, মেরকট গ্রামসহ আশে পাশের গ্রামের সদ্য রোপণ করা কৃষকের শত শত একর আমন ফসল তলিয়ে গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
আদ্রা গ্রামের কৃষক মফিজুর রহমান (৬৩) বলেন, তিনটি ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল এটি। খালের উপর আরসিসি পিলার দিয়ে মার্কেট নির্মাণ করার ফলে টানা বৃষ্টিতে পানি জমে তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর জমির ফসল। খালটি দখল মুক্ত করে খনন করার দাবি জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল হক বলেন, 'খালটি ৮-১০ বছর থেকে বেদখল। এরপরও আমি খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।'