শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিভিন্ন কারণে বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ

মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
  ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

গ্রাম বাংলার পুরাতন দিনের কথায় বলা যায়- গোয়াল ভরা গরু, গোলা ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ। এসব এখন অনেকটাই কল্পনা। কালের বিবর্তনে এগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। একইভাবে খাল, বিল হাওড়-বাওড়, এমন কি নদীতে সঠিক পরিবেশ না থাকায় দেশীয় প্রজাতির মাছগুলো বিলুপ্ত হতে চলেছে।

এক সময় গ্রাম বাংলায় পৌষ-মাঘ মাসে পুকুর, খাল, ডোবা, হাওড়-বাওড়ে পানি কমতে থাকলে মাছ ধরার ধুম পড়ে যেত। বর্ষাকালে ধানের জমিতে জাল, বড়শি ও ধুমার পেতে মাছ ধরার রীতিও এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। এক সময় দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ যেমন কই, শিং, মাগুর, টেংরা, চান্দা, খলিসা, মলা, চেলা, টাকি, শোল, বোয়াল, আইড়, ভেদা, বাইম, গতা, কাকিলা, চ্যাং, পুটি ও বউমাছ গ্রামগঞ্জের বাজারগুলোতে সব সময় পাওয়া যেত। এখন আর সেসব মাছ খুব একটা দেখা মেলে না। জেলেদের জালেও তেমন ধরা পড়ে না।

দেশ থেকে গত কয়েক দশকে বেশ কয়েক প্রজাতির পরিচিত দেশীয় মাছ বাজার থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। মৎস্য অধিদপ্তরের সূত্র মতে হারিয়ে যাওয়া দেশি প্রজাতির মাছের সংখ্যা আড়াইশোর বেশি। তাই এখন আর হাটবাজার, পুকুর, খাল বিলেও মিলছে না মিঠাপানির সুস্বাদু মাছ। দেশি প্রজাতির মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। সে বিষয়ে কয়েকজন জেলে জানান, বর্তমানে যে জাল বাংলাদেশে এসেছে কয়েক বছর পর আর দেশি মাছের দেখা মিলবে না। সেই জালের নাম চায়না দুয়ারি জাল। মাছের প্রজনন মৌসুমে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের পর এখন চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে দেশি প্রজাতির মাছ বেশি ধরা হচ্ছে। এ জালে ক্ষুদ্রফাঁস হওয়ায় কোনো প্রকার মাছ যেতে পারে না। তাই জেলেরা এই জাল গোপনে ব্যবহার করছে বেশি। মাদারগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে কিছু দোকানিরা এই চায়না দুয়ারি জাল বিক্রি করছে গোপনে। এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাহামিনা খাতুন বলেন, এই উপজেলায় চায়না দুয়ারি জাল বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মাদারগঞ্জ মৎস্য অফিস থেকে সাধারণ মানুষকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে