রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে

আশা নসরুল হামিদের
যাযাদি রিপোর্ট
  ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে

বিদু্যৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে। সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আপনার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন কেবিনেট কবে হচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হয়ে যাবে বলে আমি আশা করছি।

নতুন সরকারের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের শপথ কবে হতে পারে? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি আমি বলতে পারব না।

বিরোধী দল কে হবে, আপনার কাছে কি মনে হয়? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী যদি দেখা যায় তাহলে তো লাঙ্গল মার্কা হবে। বাকি স্বতন্ত্ররা থাকবেন। তাছাড়া পরিস্থিতি বোঝা যাবে সামনের রাজনীতি কোন দিকে যায়।

স্বতন্ত্র কি বিরোধী দল হিসেবে থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে বিষয়ে তো এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত শপথ না হচ্ছে।

নির্বাচন পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি আমার এলাকার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমার এলাকায় বলতে পারব স্বতঃস্ফূর্ত, আপনারা অনেকেই ছিলেন আমি দেখেছি। সকাল থেকে কীভাবে মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উৎসুক ছিল এবং খুবই সুষ্ঠুভাবে, বলা যেতে পারে দু-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদে খুবই সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়েছে। খুবই সুশৃঙ্খলভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে- এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তিনি বলেন, যারা পাস করে আসছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। যারা পাস করতে পারেননি তাদেরও একটা প্রচেষ্টা ছিল, তাদের অবদান ছিল।

নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি নির্বাচন কমিশন প্রচন্ডভাবে চাপের মধ্যে ছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক ইসু্য ছিল। তার আগে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ছিল। বৃহৎ একটি দল বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছে। তাদের মধ্যে প্রচন্ড চাপ ছিল, যেটা আমরা লক্ষ্য করছি বিভিন্ন বক্তব্য আসছে।'

নসরুল হামিদ বলেন, কিছুদিন আগে ট্রেনে আগুন দিয়ে চারজনকে হত্যা করছে- এ বিষয়গুলো কিন্তু খুব খারাপভাবে নিয়েছেন ভোটাররা, ওই দলের ব্যাপারে। এটার খুব বড় একটা রি-অ্যাকশন পড়ছে। এই যে ৪০ শতাংশ দেশব্যাপী ভোট হয়েছে, এটা কিন্তু বড় একটা জিনিস। তাদের (ভোটার) মধ্যে রি-অ্যাক্ট করছে যে এই দলটা প্রত্যেকবার নির্বাচন বর্জন করে এবং একটা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে।

তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন কমিশন খুবই প্রফেশনাল ওয়েতে পরিচালনা করেছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই, মাঠ পর্যায়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে খুবই সুষ্ঠুভাবে, খুব কড়াকড়িভাবে তারা নির্বাচন পরিচালনা করেছে। এটা ভালো দিক আমি মনে করি।

আগামীতে সরকারের জন্য কী কী চ্যালেঞ্জ থাকতে পারে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বিদু্যৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো গ্রাহক পর্যায়ে বিদু্যৎ ও জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন রাখা। সব প্রবলেম মাথায় রেখে এটাকে (বিদু্যৎ ও জ্বালানি) নিরবচ্ছিন্ন রাখা। গ্রাহক পর্যায়ে একটি সহনীয় পর্যায়ে রাখা জ্বালানি এবং বিদু্যৎ, এটা হলো আগামী দিনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমি মনে করি আমাদের মন্ত্রণালয় এটার জন্য প্রস্তুত আছে।

তিনি আরও বলেন, সামনে একটা বড় বিষয় হলো আমাদের দেশের ইকোনমির ধারাবাহিকতা রাখা, মূল্যস্ফীতিকে নিচের দিকে নেওয়া। এ বিষয়গুলো বড় একটা চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ বিশ্বে আবার কী চেঞ্জ আসে, বিশেষ করে জ্বালানি ক্ষেত্রে বা রাজনৈতিক পরিস্থিতির ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে আমাদের আগামীর পস্ন্যান করা উচিত।

ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ৪০ শতাংশ ভোট খুবই সন্তোষজনক। এটা ব্যাপক ভোট এই পরিস্থিতিতে। অনেক দেশে তো সাত শতাংশ ভোট পড়ে না। আমরা মনে করি যে পরিস্থিতি হয়েছে ৪০ শতাংশ ইজ বিগ টার্ন, আপনারা খবর নিয়ে দেখতে পারেন। আমার কাছে সকাল থেকে যে খবর এসেছে মোটামুটি সবাই সন্তুষ্ট। আমার এলাকায় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।

বিদু্যৎ জ্বালানি খাতের চ্যালেঞ্জগুলো কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, জ্বালানি খাতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। এখনকার যে ধারাবাহিকতা সেটা রাখা এবং বিদু্যৎ-জ্বালানিকে একটা সহনীয় পর্যায়ে রাখা। এক্ষেত্রে দুইটি বিষয় রয়েছে, একটি হলো গ্রাহক সহনীয় পর্যায়ে রাখা। এটা বড় বিষয়। আর দ্বিতীয়টা হলো ধারাবাহিকতায় যে উন্নয়ন হয়েছে সেটা ধরে রাখা। এটার পেছনে কাজ করে অর্থায়ন। সেটা আস্তে আস্তে সহনীয় করে নিয়ে আসতে হবে। এই তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। আমি মনে করি, আমরা সেভাবে পরিকল্পনা নিয়েছি। আশা করি আগামী দিনগুলোতে একটা সহনীয় পর্যায়ে যেতে পারব।

আইএমএফের চাপে নতুন সরকার কি আবার দাম বাড়াবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, আমি আগেও বলেছি দাম বাড়ানো বা কমানো বিষয় না, আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেভাবে বিদু্যৎ জ্বালানির দাম হয়, আমরা সে মেথডে আস্তে আস্তে এগোচ্ছি। একটা পর্যায়ে আমাদের যেতে হতো, সুতরাং সে পর্যায়ে আমরা যাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে