সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চৌগাছায় ফল বাগানে সাথী ফসল সবজি উৎপাদন

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
  ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
চৌগাছায় ফল বাগানে সাথী ফসল সবজি উৎপাদন
চৌগাছায় ফল বাগানে সাথী ফসল সবজি উৎপাদন

সারিবদ্ধভাবে রোপণ করা হয়েছে মাল্টা গাছ। মাল্টা গাছের এ বাগানটি দেখলে যে কারো চোখ জুড়িয়ে যাবে। বাগানের মাঝখানে আলুর ক্ষেত। এর সঙ্গে লাউ, পেঁয়াজ, রসুন, পেঁপে, ফুল কপি, বাধা কপি, মরিচ, লাল শাক, সবুজ শাক, পালঙ্ক শাক ও শিমসহ হরেক রকমের সাথী ফসল আবাদ করা হয়েছে। ফলের বাগানের চারিপাশে সীমানা বেড়ায় লাগিয়েছেন মেটে আলু। একই জমিতে কয়েক ধরনের ফসল আবাদ করে এলাকায় চমক সৃষ্টি করলেও খোঁজ রাখে না কৃষি অফিস।

যশোরের চৌগাছা শহরের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান। ৫ বছর আগে ৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে করেছিলেন মাল্টা বাগান। এখন চাষি হাবিবের নতুন পুরাতন মিলে ১৫ বিঘা বর্গা জমিতে রয়েছে ফলের বাগান। ফল এসেছে মাল্টা ও পেয়ারা বাগানে। এ বছর প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন। এছাড়া চাষি হাবিরের রয়েছে ২ বিঘা নার্সারি, পেয়ারা ৪ বিঘা, ড্রাগন চাষ রয়েছে ৩ বিঘা জমিতে। বাগানের ফাঁকা অংশ ফেলে না রেখে একই জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করে লাভবান হয়েছেন হাবিবুর রহমান। তার সাফল্যে প্রশংসা করছেন এলাকাবাসী।

1

আলাপচারিতায় তিনি জানান, মূলত নার্সারি ব্যবসায়ী ছিলেন। এতে তার অভাব ছিল নিত্য সঙ্গী। পরে নিজ উদ্যোগে নার্সারি ব্যবসার পাশাপশি তিনি শহরের মধ্যেই ৫ বছর আগে চার বিঘা জমি বর্গা নিয়ে মাল্টা বাগান করেন। এতেই ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। বর্তমানে ১৫ বিঘা বর্গা জমির জন্য বছরে দুই লক্ষাধিক টাক পরিশোধ করছেন। তার বাগানে প্রতিদিন ৫-৭ জন পরিচর্যার কাজ করেন। তাদের বেতন দিতে হয় বছরে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

তিনি বলেন, 'সবার বাগানের মধ্যে ফাঁকা জায়গা পড়েই থাকে। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে সাথী ফসল হিসেবে সবজি চাষ করে সফল হন। এরপরে বাণিজ্যিকভাবে ৯ বিঘা জমির ফল বাগানে সবজি চাষ করেন। ইতোমধ্যে বাগানের বেশিরভাগ সবজি বিক্রি করেছেন। বাকি আছে গোল আলু।

বাগান ঘুরে দেখা যায় কোথাও এক টুকরো ফাঁকা জায়গা তিনি ফেলে রাখেননি। বাগানের সারির ফাঁকা জায়গায় আলু, মিষ্টি কুমড়ো, মরিচ, বেগুন, বাঁধা কপি, ফুল কপি, পেঁয়াজ, রসুন, শি ও লাউয়ের মাচাসহ বিভিন্ন শাক রোপণ করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হুসাইন বলেন, 'ফলবাগানে সাথি ফসল উৎপাদন বিষয়টি একটি ভালো খবর। কিন্তু আমাকে কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দেখব। সহযোগিতার প্রয়োজন হলে করা হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে