বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রংপুর অঞ্চলে নতুন আলু উত্তোলনে ধুম

গতবারের চেয়ে এবার বেশি উৎপাদনের সম্ভাবনা
আবেদুল হাফিজ, রংপুর
  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে আলু উত্তোলনে ব্যস্ত কৃষক-কৃষানিরা -যাযাদি

রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে আলু উত্তোলনের ধুম পড়েছে। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত উত্তোলিত আলু পরিমাণ ৪৮ হাজার ৮৪৬ মেট্রিক টন। এসব আলুর মধ্যে রয়েছে উফশী ও স্থানীয় জাত। বাকি আলু আগামী মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে উত্তোলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

রংপুর অঞ্চল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর, গাইবান্ধা কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলায় গতবারের চেয়ে এবার ৩ হাজার ২৭৫ হেক্টর বেশি জমিতে স্থানীয় ও উফশী জাতের আলু আবাদ হয়েছে। এ অঞ্চলে এবার আলুর আবাদ করা হয়েছে এক লাখ ৬০২ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে রংপুরে ৫৩ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে আবাদের বিপরীতে ১৮ হাজার ৪শ' হেক্টর জমির আলু উত্তোলন করা হয়। এতে হেক্টর প্রতি গড় ফলনের হার উফশী ২৯ দশমিক ৪৫ ও স্থানীয় ১১ দশমিক ৮০ মেট্রিক টন।

গাইবান্ধায় ১১ হাজার ১৫২ হেক্টর জমিতের আবাদের বিপরীতে আলু উত্তোলিত হয়েছে ৫ হাজার ২৩১ হেক্টর জমির। এতে হেক্টর প্রতি গড় ফলনের হার উফশী ২৫ দশমিক শূন্য ও স্থানীয় ১২ দশমিক শূন্য মেট্রিক টন।

কুড়িগ্রামে ৭ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতের আবাদের বিপরীতে আলু উত্তোলিত করা হয়েছে ৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমির। এতে হেক্টর প্রতি গড় ফলনের হার উফশী ২৩ দশমিক ৭০ ও স্থানীয় ১৩ দশমিক শূন্য মেট্রিক টন।

লালমনিরহাটে ৬ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতের আবাদের বিপরীতে আলু উত্তোলিত হয়েছে ১ হাজার ৯১০ হেক্টর জমির। এতে হেক্টর প্রতি গড় ফলনের হার উফশী ২৩ দশমিক ৬৭ ও স্থানীয় ১৩ দশমিক ৭১ মেট্রিক টন। নীলফামারী জেলায় ২১ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমিতের আবাদের বিপরীতে আলু উত্তোলিত হয়েছে ১৮ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমির। হেক্টর প্রতি গড় ফলনের হার উফশী ২৩ দশমিক ৫০ ও স্থানীয় ১২ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন।

বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশির ভাগ জমির আলু উত্তোলিত হয়েছে। উত্তোলন কাজে অধিকাংশ নারী।

রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের ধাপেরহাট এলাকার মৃত ইলিয়াস মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন এবার ৮ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু আবাদ করেছেন। তিনি গত বছরে বিএডিসি থেকে নেওয়া বীজ দিয়ে জমিতে আলু আবাদ করেছিলেন। সেখান থেকে বীজ আলু রাখা হয়। ওই বীজ আলু ৮ একর জমিতে লাগিয়েছিলেন। এতে করে উৎপাদন কম হয়েছে। তার আবাদে সব মিলে তার খরচ হয়েছে এক লাখ টাকার উপরে। প্রতি বস্তায় ৭০ কেজি হিসাবে একরে তিনি পেয়েছেন ৪৩ বস্তা আলু। ১৭ টাকা প্রতি কেজি দরে মাঠেই বিক্রি করে দেন। তিনি বলেন, কেনা বীজ হলে উৎপাদন বেশি হতো। এজন্য তিনি বিএডিসির আলু বীজকে নিম্ন মানের বলে দায়ী করেছেন।

রংপুর অঞ্চল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুলস্নাহ আল মামুন জানান, গত বছর রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় আলুর মোট উৎপাদন হয়েছিল ২৭ লাখ ৩২ হাজার ১৫৪ মেট্রিক টন। এবার এর চেয়ে বেশি আলু উৎপাদন সম্ভাবনা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে