সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

লাল মরিচে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ১৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকের ক্ষেতে ও বাড়ির আঙিনা জুড়ে শোভা পাচ্ছে পাকা লাল মরিচ -যাযাদি

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চলতি মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকের ক্ষেতে ও বাড়ির আঙিনা জুড়ে এখন শুধু শোভা পাচ্ছে পাকা লাল মরিচ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।

জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৮৫ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে আরও বেশি জমিতে।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার জিনারী ইউপির চরকাটিহারী গ্রামে মাঠের পর মাঠ কাঁচা মরিচের দিগন্ত জোড়া সবুজের সমারোহ। কৃষাণ-কৃষাণিরা বেছে বেছে লাল টুকটুকে পাকা মরিচ তুলছেন। মূলত এ বিস্তীর্ণ জনপদে বছরের পর বছর ধরে মরিচ চাষ হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে জেগে ওঠা চরে চাষ হওয়া মরিচ বিক্রির টাকায় অনেক কৃষকের সারা বছরের সংসারের খরচ জোগাড় হয়ে থাকে।

স্থানীয় কৃষক নবী হোসেন জানান, কার্তিক মাসে মরিচের জমি তৈরি করে বীজ লাগান অগ্রহায়ণ মাসে। গত কয়েক মাস আগে থেকে শুরু হয়েছে মরিচ তোলা।

বাসুরচর গ্রামের আবুল হাসিম জানান, এবার ক্ষেত থেকে উঠানো পর্যন্ত এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষে খরচ হয়েছে ১০-১৫ হাজার টাকা এবং বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ হাজার টাকায়। এখন প্রতি কেজি শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। গত বছর প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।

চর কাটিহারীর বাছেদ মিয়া বলেন, 'এবার মরিচের আবাদ করে ভালো দাম পাচ্ছি। শুকনো মরিচ চার হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। সার ও কীটনাশকের বেশি দাম ও শ্রমিকের মজুরি দ্বিগুণসহ সবমিলিয়ে এক একর জমিতে মরিচ চাষে খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। এরইমধ্যে এক একর জমিতে মরিচ উৎপাদিত হয়েছে ৩০০ কেজি, যা ৭২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। আরও অনেক মরিচ বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে। এবার মরিচ চাষে বেশ লাভবান হওয়া যাবে বলে আশা করছি।'

সদর উপজেলার একটি বাজারের পাইকারি মরিচ ব্যবসায়ী রেনু মিয়া বলেন, মরিচের বাম্পার ফলন হলেও বাইরের মরিচ বাজারে এলে দাম কমে যেতে পারে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একে এম শাহজাহান কবির জানান, স্থানীয় চাষিরা এক মাস ধরেই মরিচ তুলতে শুরু করেছেন। এবার প্রতি একর জমিতে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি মরিচ উৎপাদিত হয়েছে। যা আগে কখনো হয়নি। তবে এখন যে দামে মরিচ বিক্রি হচ্ছে, তাতে চাষিদের লোকসানের আশঙ্কা নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে