শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

৬০ বছর ধরে আইসক্রিম বিক্রি করে ভালো আছেন আলাউদ্দিন মিয়া

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
  ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ফেরী করে আইসক্রিম বিক্রি করছেন বৃদ্ধ আলাউদ্দিন মিয়া -যাযাদি

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার মো. আলাউদ্দিন মিয়া একজন আইসক্রিম বিক্রেতা। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ওয়াজ মাহফিল ও কীর্তনে তিনি তার বিখ্যাত আইসক্রিম বিক্রি করেন। উপজেলায় তার আইসক্রিম বেশ জনপ্রিয়। মো. আলাউদ্দিন মিয়ার বয়স এখন প্রায় ৭০ বছর। ৭০ বছরের জীবনের ৬০ বছরই তিনি আইসক্রিম বিক্রির সাথে জড়িত। ১৯৬৫ সালের দিকে তার আইসক্রিম বিক্রিতে হাতেখড়ি।

জীবিকার তাগিদে মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি এ পেশা বেছে নেন। প্রথমদিকে কুষ্টিয়া থেকে কাঠি মালাই নিয়ে আসতেন। এখন নিজেই আইসক্রিম তৈরি করে বিক্রি করেন। আলাউদ্দিন মিয়ার তিন মেয়ে ও দুই ছেলে। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, অপর মেয়েটি স্থানীয় একটি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বড় ছেলেও বাবার মতো আইসক্রিম ব্যবসার সাথে জড়িত। ছোট ছেলে ভিডিও ব্যবসার সাথে জড়িত।

আইসক্রিম বিক্রেতা আলাউদ্দিন মিয়া জানান, আইসক্রিম তৈরিতে লাগে দুধ, চিনি, এলাচ, ময়দা আর সুগন্ধী। এ ছাড়া লাগে ময়দা দিয়ে তৈরি 'কোণ'।

আইসক্রিমের বাইরের শক্ত আবরণটাকে 'কোণ' বলে। কোণের মধ্যে দুধ, চিনি, এলাচ, ময়দা সহযোগে তৈরি আইসক্রিমের মন্ড থাকে। এসব কোণ ফরিদপুর থেকে কিনে আনতে হয়। প্রতি পিস এক টাকা। আমি সাধারণত কোনো স্কুল-কলেজে কিংবা হাটবাজারে বিক্রি করি না। ওয়াজ মাহফিলে আইসক্রিম বিক্রি করি।

শীতকালে রাতের বেলা আইসক্রিম বিক্রি হয় বেশি। এ ছাড়া কীর্তনেও বিক্রি করি। প্রতিদিন ২০০০/২৫০০ টাকার আইসক্রিম বিক্রি হয়। এতে অর্ধেক লাভ হয়। তাতে সংসার ভালোভাবে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, এ পেশায় থেকে খুব ভালো আছি। আইসক্রিম বেচি, এতে আমার কোনো সংকোচ নাই। এলাকার একজন জ্যেষ্ঠ স্কুলশিক্ষক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই আলাউদ্দিন ভাইয়ের আইসক্রিম খাই। খুবই ভালো। এখনও পেলে খাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে