শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বেনাপোলে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে ফিরেছে স্বচ্ছতা

কাস্টমস ইমিগ্রেশন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগ
বেনাপোল প্রতিনিধি
  ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টমস ও আন্তজার্তিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী গমনাগমনে স্বচ্ছতা ফিরে এসেছে। কাস্টমস ও যাত্রী টার্মিনালে বহিরাগণদের ভিড়ে যাত্রীরা নানা মুখি হয়রানির শিকার হতেন। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে কড়াকড়ি আরোপ করে বহিরাগণ প্রবেশে নিশেধাজ্ঞা জারি করেছে। বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পাসপোর্ট যাত্রীদের নিয়ে কিছু বহিরাগণরা নানা মুখি হয়রানি করত। এরা সু-কৌশলে যাত্রীদের সঙ্গে এসব করায় কাস্টমস বিভাগের দৃষ্টি গোচর হয়।

যার ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে বহিরাগণরা প্রবেশ করে কোন যাত্রীকে হয়রানি করতে না পারে। সূত্রটি বলে এসব বহিরাগণরা এর আগে বেনাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এর সামনে থেকে যাত্রীদের কাজ করে দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। সে ব্যাপারে বেনাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষও যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ভারতগামী যাত্রীদের কাছ থেকে একটি চক্র প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তৎপর হয়। এরপর ওই চক্রদের আটক করা হয়। ছিনুাই প্রতারনার মামলা দিয়ে তাদের যশোর জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বেনাপোল কাস্টমস সুপার মোকলেসুর রহমান বলেন, যাত্রীরা যাতে কোন হয়রানির শিকার না হন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে যাত্রী সেবা ও কাস্টমসের সুনাম অর্জন করতে হবে। এ জন্য বহিরাগণ লোক প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, 'বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল হয়ে ভারত গামী পাসপোর্ট যাত্রী কাস্টমস ইমিগ্রেশনে যান। কিছু বহিরাগণ লোকের প্রবেশ আমাদের দৃষ্টি গোচর হওয়ায় আমরা কড়াকড়ি আরোপ করেছি। কোন বহিরাগণ লোক যাতে ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে এবং যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারনা করতে না পারে তার জন্য কড়াকড়ি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।'

বেনাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ নাহিদ হাসান বলেন, 'বেনাপোল যাত্রী গমনাগমনে বহিরাগণদের দ্বারা ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রীরা যাতে কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখছি এবং শতভাগ সেবা প্রদান করার চেষ্টা করছি।'

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাহিদ হাসান নিজে যাত্রী সেবার মান অক্ষুন্ন রাখতে বন্দরে নিয়োজিত বেসরকারি সিকিউরিটি পিমা, আনসার ও আর্মড পুলিশ সদস্যদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। তবে আনসার বাহিনীর কিছু অসাদু সদস্য সবার চোখ ফাকি দিয়ে টাকার বিনিময়ে লাইনের আগে লোক পার করার বিষয়টিও চোখে পড়ে। আনসারের এপিসি শিপনের নেুৃত্বে আনসার সদস্য নিজাম উদ্দিন ও রবিন্দ্রনাথকে লাইনের আগে লোক পার করার বিষয়টি দেখা যায়। এছাড়াও অনেক সময় এপিসি শিপনকে বিজিবি টেবিলের সামনে দিয়ে ল্যাগেজ ও কম্বল হাতে নিয়ে টার্মিনালের বাইরে আসতে দেখা যায়।

\হএ ব্যাপারে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ নাহিদ হাসান বলেন, 'বিষয়টি আমার চোখে কয়েকবার পড়েছে। আমি তাকে সাবধান করেছি। এরপর যদি এরকম কিছু চোখে পড়ে তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে