শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
চিকনদন্ডী উপ-নির্বাচন

প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১০ প্রার্থী সহিংসতার আশঙ্কা

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১০ প্রার্থী সহিংসতার আশঙ্কা

২৮ এপ্রিল কে হচ্ছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান। এ নিয়ে চলছে প্রার্থীদের রাত-দিন ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা।

জানা গেছে, উপজেলার ১২ নং চিকনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৫ প্রার্থী মনোনয়ন নিলেও শেষ পর্যন্ত তা নেমে আসে দশে। মনোনয়ন জমা, যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহারের শেষ দিনে দশ প্রার্থীর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তারা হলেন- ১ নং ওয়ার্ডের ঢোল প্রতীকের হাজি মো. হেলাল, ৭ নং ওয়ার্ডের চশমা প্রতীকের জহুরুল আলম, একই ওয়ার্ডের আনারস প্রতীকের কাজী মোহাম্মদ আলমগীর, অটোরিকশা প্রতীকের রাশেদ আলী মাহমুদ, ৮ নং ওয়ার্ডের দুটি পাতা প্রতীকের নুরুল আফছার, টেবিল ফ্যান প্রতীকের মোহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী, ৬ নং ওয়ার্ডের রজনীগন্ধা প্রতীকের মো. নেজাম উদ্দিন তনি, ৯ নং ওয়ার্ডের ঘোড়া প্রতীকের এস.এম শওকত ওসমান, মোটরসাইকেল প্রতীকের মো. নাজিমুদ্দিন ও ৪ নং ওয়ার্ডের টেলিফোন প্রতীকের মো. এমরান। ছয়টি ওয়ার্ডে কোনো না কোনো প্রার্থী থাকলেও প্রার্থী নেই ২, ৩ ও ৫ নং ওয়ার্ডে।

সরেজমিনে জানা গেছে, হাজি মো. হেলাল ২০১২ ও ২০১৬, কাজী মোহাম্মদ আলমগীর ও জহুরুল আলম ২০২১ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় প্রার্থী হিসেবে সুপরিচিত। অন্যদিকে সাবেক ছাত্রনেতা নুরুল আফছার সরকার ও তরুণ ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন তনির পরিচয় রয়েছে এলাকাজুড়ে। পাশাপাশি সাবেক এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করে নিজ এলাকায় পরিচিতির দিকে এগিয়ে আছেন শওকত ওসমান। তবে এবারের উপ-নির্বাচনে প্রভাবশালী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন নুরুল আফছার সরকার ও নেজাম উদ্দিন তনি। এ দুই প্রার্থীকে নিয়ে ইতিবাচক ও নেতিবাচক আলোচনা জনসাধারণের মুখে মুখে।

অপরদিকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন গত নির্বাচনে অংশ নেওয়া জহুরুল আলম। প্রতিটা কেন্দ্রে তার কিছু রিজার্ভ ভোট রয়েছে। তার সমর্থকদের দাবি যদি ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে স্ব স্ব ভোট প্রদান করতে পারে তথা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে জহুরুল আলমই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

এ ছাড়া নিজ কেন্দ্র ছাড়াও আরও কয়েকটি কেন্দ্রে হাজি মো. হেলালের নিজস্ব ভোটার রয়েছে। সব মিলিয়ে নেজাম উদ্দিন তনি, নুরুল আফছার সরকার, জহুরুল আলম হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে আছেন এ নির্বাচনে।

এদিকে অধিকাংশ প্রার্থী এবং সাধারণ ভোটাররা ২ নং ওয়ার্ডের ফতেয়াবাদ আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, ৪ নং ওয়ার্ডের চিকনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও সংলগ্ন স্টুয়ার্ড ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৫ নং ওয়ার্ডের চিকনদন্ডী কাটাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬ নং ওয়ার্ডের খন্দকিয়া ছমদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮ নং ওয়ার্ডের চিকনদন্ডী দরবেশীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (পুরাতন ভবন) এবং সংলগ্ন মজিদ আব্বাছ চৌধুরীর বাড়ি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও ৯ নং ওয়ার্ডের ছালামত আলী খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন। এ ছাড়া প্রতিদিনই প্রচারণায় ঘটছে আচরণবিধি লংঘনের ঘটনা। এ নিয়ে প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ দিলেও নির্বাচন অফিসে লিখিত অভিযোগ করেননি কেউ।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার পরান্টু চাকমা যায়যায়দিনকে বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে যা যা করণীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উলেস্নখ্য, চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি অসুস্থতাজনিত কারণে চেয়ারম্যান হাসান জামান বাচ্চু ইন্তেকাল করলে পদটি শূন্য হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে