শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
আমলী আদালতে মামলা

গাইবান্ধায় বরখাস্ত অধ্যক্ষের কলেজে অনুপ্রবেশ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
  ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
গাইবান্ধায় বরখাস্ত অধ্যক্ষের কলেজে অনুপ্রবেশ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের ধর্মপুর আব্দুল জব্বার ডিগ্রি কলেজের বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ মো. ছামিউল ইসলামের বিরুদ্ধে কলেজে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তার নামে সুন্দরগঞ্জ আমলী আদালতে একটি মামলা হয়েছে।

জানা গেছে, অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলামের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে সরেজমিন তদন্তপূর্বক অভিযোগের সত্যতা পায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তার এমপিও বাতিল করে। এদিকে অনিয়ম-দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতার ফলে কলেজের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ ছামিউল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) নির্দেশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে ইউএনও ওই বছরের ২ এপ্রিল অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এ বিষয়ে বরখাস্ত অধ্যক্ষ হাইকোর্টে রিট পিটিশন করলে কোনো আদেশ পাননি। পরে একই বিষয়ে যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত গাইবান্ধায় একটি মামলা করেন, যার নম্বর ০৪/২০২৩। পরে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন। ফের একই বিষয়ে সুন্দরগঞ্জের সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন, যার নম্বর ২৮৩/২০২৩। এটি এখনো চলমান রয়েছে।

এদিকে, ছামিউল ইসলাম বরখাস্ত হওয়ার পরও গাইবান্ধার সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখায় তথ্য গোপন করে কলেজ নামীয় হিসাব থেকে টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ গাইবান্ধা সদর থানা আমলী আদালতে আরেকটি মামলা করে (মামলা নং ৮২২/২৩)। এটিও চলমান রয়েছে। বরখাস্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইবু্যনাল আদালত রংপুরে একটি মামলা চলমান রয়েছে। যার নম্বর: সিটি-১৪৩/২০২২।

ঠিক এ রকম মুহূর্তে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কলেজ বন্ধ থাকা অবস্থায় লোকবল নিয়ে কলেজ গেটের তালা ভেঙে অনুপ্রবেশ করেন বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ ছামিউল। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ আমলী আদালতে একটি মামলা করে, মামলার নম্বর সিআর/২৩৩।

এ বিষয়ে বরখাস্ত অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলাম বলেন, 'আমি পরিপত্র অনুযায়ী কলেজে প্রবেশ করেছি।'

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরদার মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, 'আমাদের কলেজে এখন সভাপতির পদ শূন্য। বরখাস্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও মামলা বিভাগীয় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি সপদে ফিরিয়ে আসতে পারবেন না।' তিনি কলেজের শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে