মৌলভীবাজারে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের অফিস চলাকালীন টাকার অভাবে প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ ছিল। পরে প্রধান কার্যালয় থেকে গ্রাহকদের কিছু টাকা পাওয়া গেলে তালা খুলে অফিস কার্যক্রম শুরু হয়। এ নিয়ে জেলা শহরজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মৌলভীবাজার শহরের ব্যস্ততম আদালত সড়কের চৌমহনায় অবস্থিত আইসিবি ব্যাংকটিতে সোমবার সকাল ১০টা থেকে গ্রাহকরা নিজেদের প্রয়োজনে অবস্থান করেন। ব্যাংক দীর্ঘ সময় তালাবদ্ধ থাকায় চৌমুহনা জুড়ে হইচই শুরু হয়। তাৎক্ষণিক বাইরে থাকা গ্রাহকরা মুঠোফোনে কথা বলেন ব্যাংক ব্যাবস্থাপকের সঙ্গে। এতে কোনো লাভ না হওয়ায় ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে অনেকে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
ব্যাংক ব্যবস্থাপক তোফাজ্জল হোসেন সুমন ব্যাংকের অর্থনৈতিক পাহাড়সম সমস্যার কথা তুলে ধরে যায়যায়দিনকে বলেন, 'হেড অফিস থাকি ২ মাস ধরে বলা হচ্ছে, আমার শাখায় প্রয়োজনীয় টাকা পাঠানো হবে। কিন্তু এতে কোনো সুরাহা হচ্ছে না।'
ব্যবস্থাপকের কথোপকথনের একটি ভিডিও রেকর্ড যায়যায়দিনের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। তিনি বলেন, 'ব্যাংকে আমার প্রয়োজন ৫০ লাখ টাকার, তারা দিচ্ছেন মাত্র ২ লাখ টাকা।' ব্যবস্থাপক আরও বলেন, 'প্রতিদিন আমাকে বলা হয় 'বিএফটিন' করো, টাকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা আর হয় না।'
ব্যবস্থাপক সুমন বলেন, আমার এখানে কাস্টমার রয়েছেন ৪০০ জন। কিন্তু টাকা নেই। গত রোববার এমন হয়েছে, গ্রাহকরা টাকার জন্য মা-বাপ তুলে গালাগাল শুরু করেছেন। আমার নিজেরও ৬২ লাখ টাকা ব্যাংকে রয়েছে।'
তিনি আরও জানান, গেল রোববার হেড অফিস থেকে বলা হয়েছে, বিএফটিএন করতে, তারা ৫ লাখ টাকা দিচ্ছেন। কিন্তু রাত ১২ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। টাকা দেওয়া হয়নি। আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ব্যাংক খুলব না। ব্যাংক খুলে আমি গ্রাহকদের মার খাব নাকি' তিনি হেড অফিসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করলাম আমরা। আর এগুলো তারা নিয়ে নিলেন।'
ব্যাংক ব্যবস্থাপক তোফাজ্জল হোসেন সুমন বলেন, 'আজ (সোমবার) হেড অফিস জানতে পেরেছে আমাদের মৌলভীবাজার আইসিবি শাখা বন্ধ রয়েছে। তাৎক্ষণিক কিছু টাকা দিয়ে বলা হয়েছে তাড়াতাড়ি খোলার জন্য। এই টাকা পেয়ে গ্রাহকদের চাহিদা আপাতত পূরণ করছি।'