একযোগে এক মিনিট ধরে ঘণ্টা বাজিয়ে সব প্রতিবন্ধী শিশুর শিক্ষার অধিকার আদায়ে নীতিনির্ধারক ও দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করল দিনাজপুরের বীরগঞ্জের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
'আমরা ঘণ্টা বাজাই' নামক বিশ্বব্যাপী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ও অ-প্রতিবন্ধী শিশুরা সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের আমিনা করিম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে ঘণ্টা, ঢোল, বাদ্যযন্ত্র এমনকি থালা-বাসনে এক মিনিট আওয়াজ তুলে প্রতীকী এই কর্মসূচি পালন করেছে।
কর্মসূচিতে আমিনা করিম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, গোলাপগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক, মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এসব স্কুলে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য আক্ষরিক ও চরিত্রগতভাবে আরও বেশি প্রবেশগম্য হওয়া প্রয়োজন। শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণ যেন প্রতিবন্ধী শিশুদের চাহিদা পূরণ করতে পারে এবং শিক্ষা যে প্রতিবন্ধী শিশুরও মৌলিক অধিকার, সেটা যেন সবাই অনুধান করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আমিনা করিম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ কুমার সরকার, ডাবরা ডিনেশ্বরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির, দীপশিখা বীরগঞ্জ এরিয়া ম্যানেজার ও ফোকাল পারসন রজব আলী মন্ডল, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার শাহাব উদ্দিন, থেরাপিস্ট শামসুল ইসলাম, কমিউনিটি অর্গানাইজার পারুল রানীসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষিক, অভিভাবক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও বাস্তবায়নে ছিল দীপশিখা।
ক্যাম্পেইনটি নেদারল্যান্ডভিত্তিক লিলিয়ান ফাউন্ডেশনের একটি উদ্যোগ, যা বাংলাদেশের কৌশলগত অংশীদার সিডিডি সারাদেশে পালন করছে। বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষায় সহায়তা প্রদান ও সবাইকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য লিলিয়ান ফাউন্ডেশন সিডিডি-কে সহায়তা করছে এবং সিডিডির স্থানীয় অংশীদার দীপশিখার মাধ্যমে বীরগঞ্জের মরিচা ইউনিয়নে তা বাস্তবায়ন করছে।
উদ্দেশ্য একটাই। প্রতিবন্ধী শিশুদের বিদ্যালয়ে গমনের বিষয়ে সমাজের সব স্তরের মানুষকে সচেতন করা এবং তাদের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার হওয়া। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা প্রতিবন্ধী শিশুদের বিদ্যালয় গমনে প্রতিবন্ধকতা দূর করার মাধ্যমে তাদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে নীতিনির্ধারক ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।