সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হালদায় দ্বিতীয় দফায় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ২৯ মে ২০২৪, ০০:০০
হালদায় দ্বিতীয় দফায় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হ্যারিটেজ চট্টগ্রামের হালদা নদীতে দ্বিতীয় দফায় নমুনা ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ। গত সোমবার দুপুরে জোয়ারের সময় নদীর নয়াহাট, কাটাখালির মুখ প্রকাশ পাতাইয্যার টেক, বোবাইয়ার চর, পোর আউলিয়ার টেক, আজিমের ঘাট অংশে অল্প অল্প পরিমাণে নমুনা সংগ্রহ করে ডিম সংগ্রহকারীরা।

সত্যতা নিশ্চিত করে ডিম সংগ্রহকারী মো. কামাল সওদাগর যায়যায়দিনকে বলেন, সোমবার দুপুরে জোয়ারের সময় ১৫-২০টি নমুনা ডিম পান। রাখার মতো নয় বিধায় তা ফেলে দেন। ডিম সংগ্রহকারী মো. হোছেন বলেন, খুবই অল্প পরিমাণ ডিম পেয়েছেন। তবে তা ফেলে না দিয়ে আট গ্রম্নপের সদস্যরা মাছুয়াঘোনা হ্যাচারির আটটি কুয়ায় সংরক্ষণ করেন। সব মিলিয়ে ১২ বালতি তথা ১২০ কেজির মতো হবে।

অন্যদিকে উপজেলার মদুনাঘাট ও শাহ মাদারি হ্যাচারিতে খবর নিয়ে জানা গেছে, সেখানকার কোন কুয়ায় ডিম সংরক্ষণ করা হয়নি।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে ডিম সংগ্রহকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টিতে উজানের পানি নামায় ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা আছে বিধায় নদীর বিভিন্ন সম্ভাব্য অংশে জাল, বালতি, নেটসহ ডিম সংগ্রহের যাবতীয় সরঞ্জামসহ নদীতে প্রায় ৪০০ ডিম সংগ্রহকারী ২০০ নৌকা ও বাঁশের ভোরকা নিয়ে অবস্থান করছেন।

জানতে চাইলে সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. ফারুক মায়েদুজ্জামান বলেন, নমুনা ডিম পাওয়া গেলেও তা পরিমাণে একেবারে অল্প। হ্যাচারির কোনো কুয়ায় ডিম সংরক্ষণ করা হয়নি বলে জানান তিনি।

হালদা গবেষক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, এখন জোঁ নেই। তবে নদীতে উজানের পানি, বৃষ্টি তথা পরিবেশ অনুকূলে আছে, যার কারণে মা মাছ অনেক সময় জোঁ না থাকলেও ডিম ছেড়ে দেয়। মঙ্গলবার ও বুধবার ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা আছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.বি.এম মশিউজ্জামান বলেন, নুমনা ডিমের সংবাদ পেয়ে সোমবার রাতে নদীতে অবস্থান করেছিলেন, তবে রাতে আর পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, চলতি মাসের ৭ তারিখ প্রথম দফায় প্রায় এক হাজার ৭০০ কেজি ডিম সংগ্রহ করেছিলেন হাটহাজারী ও রাউজানের ডিম সংগ্রহকারীরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে