সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দেবে গেছে আধাপাকাসহ পাঁচটি ঘর

শীতলক্ষ্যার ভাঙনে হুমকিতে অর্ধশতাধিক পরিবার

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  ২০ জুন ২০২৪, ০০:০০
শীতলক্ষ্যার ভাঙনে হুমকিতে অর্ধশতাধিক পরিবার
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীর ভাঙনে দেবে যাওয়া ঘর - যাযাদি

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কাপাসিয়া সদর ইউনিয়নের কাপাসিয়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে আকস্মিক ভাঙন দেখা দিয়েছে।

বুধবার সকালে শীতলক্ষ্যার ভাঙনে একটি আধাপাকা ঘরসহ পাঁচটি ঘর নদীতে দেবে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে মাদ্রাসা ও ঈদগাহ মাঠসহ অর্ধশতাধিক বাড়িঘর।

1

আকস্মিক নদীভাঙনে চরম আতঙ্কে আছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেও জায়গার অভাবে অন্যত্র যেতে পারছেন না। বুধবার সকালে অতিবর্ষণে কাপাসিয়া সদর ইউনিয়নের কাপাসিয়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠ এলাকার হেনা বেগম, মাসুদ মিয়া, রফিকুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, আক্কাস আলী ও কিরন মিয়ার বাড়ি-ঘর নদীতে দেবে গেছে।

বুধবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাসিন্দারা বাড়িঘর নিয়ে চিন্তায় আছেন, তারা কোথায় যাবেন। ভাঙনকবলিত বাসিন্দাদের চোখে-মুখে ছিল হতাশা ও আতঙ্কের ছাপ। অতি বৃষ্টি ও নদীতে প্রচন্ড স্রোতে নদীপাড়ের বাসিন্দারা দিশাহারা হয়ে পড়ছেন। ভাঙনে পাঁচটি সাবমার্সিবল টিউবওয়েল নদীতে দেবে গেছে।

ভাঙনের শিকার বাবুল মিয়া যায়যায়দিনকে বলেন, বৃষ্টির পানিতে এভাবে ঘর বিলীন হবে, কেউ ভাবতে পারেননি। তার একটি ঘরই ছিল তা নদীতে দেবে গেছে। এখন থাকারও জায়গা নেই। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এ অল্প জায়গায় প্রায় ৫০ বছরের বসতি তাদের। এখন শেষ সম্বলটুকু হারাতে বসেছেন তারা। মোসা. হেনা বেগম বলেন, বৃষ্টির মধ্যে বুধবার ও গত দুইদিন আগে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়। মুহূর্তেই মাটি ভেঙে পড়তে থাকে। ঘরের সব আসবাবপত্র বের করতে পারেননি। বেড়া সরানোর সময় ঘর নদীতে দেবে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত দুইদিন আগে ও বুধবার হঠাৎ তীব্র ভাঙন শুরু হয় নদী তীরবর্তী এ এলাকায়। মুহর্তেই পাঁচটি বসতঘর নদীগর্ভে দেবে যায়। এতে গৃহহীন হয়ে পড়ে পাঁচটি পরিবার। পাঁচটি সাবমার্সিবল টিউবওয়েলও দেবে গেছে নদীতে। দ্রম্নত ভাঙন ঠেকানো না গেলে অন্তত অর্ধশত বাড়িঘর ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে। ভাঙন ঠেকাতে দ্রম্নত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ভাঙন আতঙ্ক এলাকায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে কাপাসিয়া ঈদগাহ মাঠ মাদ্রাসার একটি আধাপাকা ভবন। ভাঙন চলে এসেছে ভবনের কাছাকাছি।

উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান বলেন, বিষয়টি দেখে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম লুৎফর রহমান বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে