নরসিংদীর মনোহরদীতে ডোমন মারা কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ অন্যত্র রাখাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে তোলপাড় কান্ড। জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হাসান মাহমুদের নির্দেশক্রমে মনোহরদী উপজেলার সব কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ মনোহরদী সরকারি হাসপাতাল থেকে নেওয়া হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় ডোমন মারা কমিউনিটি ক্লিনিকেও ওষুধ পাঠানো হয়। ভ্যান গাড়িতে ৪ কার্টুন ওষুধ নিয়ে আসে ডোমন মারা কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে। ভ্যান গাড়ি চালক ডোমনমারা কমিউনিটি ক্লিনিকের চাকরিরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার রোজী আক্তারকে ফোন করলে তিনি ক্লিনিকের সামনে চলে আসেন।
তিনি ৪ কার্টুন ওষুধ পেয়ে বিষয়টি ক্লিনিকের সভাপতি সোলায়মান মৃধাকে অবগত করেন।
সোলায়মান মৃধা তাকে ক্লিনিকের পাশে মোস্তফার বাড়িতে ওষুধ রাখার জন্য বলেন। কারণ ক্লিনিক ঝুঁকিপূর্ণ ফাঁকা জায়গা, কোনো নাইটগার্ড নেই, উইপোকার গর্তে ভরা, তাই ওষুধগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যা ক্লিনিকের কমিটির সম্মতিক্রমে ওই বাড়িতে ওষুধ রাখা হয়।
ওষুধ রাখার ৩-৪ দিন পর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাউছার রশীদ বিপস্নব কয়েকজন লোক নিয়ে ওষুধ রাখার স্থান মোস্তফার বাড়িতে হাজির হন। তিনি বলেন, 'এখানে ওষুধ আসল কীভাবে, পরস্পর শুনতে পেলাম চুরি করে ওষুধ বিক্রি করার জন্য এ বাড়িতে ওষুধ রাখা হয়।'
এরপর রোজী আক্তার বলেন, 'এখানে ওষুধগুলো রাখা হয়েছে শুধু নিরাপত্তার জন্য। ডোমন মারা ক্লিনিক কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওষুধ এই বাড়িতে রাখা হয়। এখান থেকে প্রয়োজনমতো ওষুধ ক্লিনিকে নিয়ে কাজ চালাই।'
এতে চেয়ারম্যান কোনো কর্ণপাত না করে ৪ কার্টুন ওষুধ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে চলে যান। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এলাকাবাসীর মধ্যে ওষুধ কান্ড নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হাসান মাহমুদ বলেন, 'বিষয়টি আমি শুনেছি, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেব।'