পঞ্চগড় ও সিলেটের কানাইঘাটে বাজারে ফুটপাত দখলমুক্ত, মহাসড়কের দু'ধারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে সড়ক বিভাগ এবং উপজেলা প্রশাসন। বরিশাল-ভোলা সড়ক থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির চার বস্তা কচ্ছপ উদ্ধার করেছের্ যাব। আঞ্চলিক অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর-
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা জাতীয় মহাসড়কের দু'ধারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে পঞ্চগড় সড়ক বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার জগদল বাজার থেকে শুরু করে পঞ্চগড় জেলা শহর পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার মহাসড়কের দু'ধারের শতাধিক অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয় তারা। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের সহায়তায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার এসিল্যান্ড মোহন মিনজি, সড়ক ও জনপথ বিভাগের পঞ্চগড় কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোতাহার আলীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও থানা পুলিশ সদস্যরা।
কানাইঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি জানান, সিলেটের কানাইঘাট বাজারে ফুটপাত দখলমুক্ত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কানাইঘাট বাজারে ফুটপাত দখলমুক্ত, যানজট নিরসন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক ফারজানা নাসরিন এবং এসিল্যান্ড ওয়াজিদ ওয়াসিফ। এ সময় বাজারের রাস্তার ওপর থাকা সমস্ত অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়াসহ বেশকিছু উচ্ছেদ করে জব্দ করে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযানকালে আইন অমান্য করায় ২২টি মামলা দায়েরের মাধ্যমে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্রকৌশলী মনির উদ্দিন আহমদ, থানা পুলিশসহ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা।
বরিশাল অফিস জানান, বরিশাল-ভোলা সড়ক থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির চার বস্তা কচ্ছপ উদ্ধার করেছের্ যাব-৮। এ সময় অভিযানে কচ্ছপ বিক্রির সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ অভিযান চালানো হয়।র্ যাব-৮ এর বরিশাল সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলা-বরিশাল সড়ক পথে বিআরটিসি বাসে তলস্নাশি চালিয়ে চারটি বস্তায় থাকা বিলুপ্ত প্রজাতির ২২২টি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ১৬০ কেজি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাসের সুপাভাইজার মো. ফয়সাল ও সহকারী মো. সজিব শেখকে আটক করের্ যাব। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল সদর রেঞ্জ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।