পিরোজপুরের নেছারাবাদে এলডিপির আওতাধীন বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের কোটি টাকার নির্মাণাধীন ভেজা মার্কেটের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে উপজেলা জগন্নাথকাঠি বন্দর ব্যবসায়ীদের জন্য নির্মাণাধীন সবজি বাজার মার্কেটের কাজ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে দেড় শতাধিক সবজি বিক্রেতা।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেছেন, সরকারি খালের অংশ দখল করে বাজার উন্নয়ন ভেজা মার্কেট নির্মাণ করায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মার্কেটের কাজ বন্ধ থাকার কারনে সবজি ব্যবসায়িরা বাজারের যত্রতত্র গণ-টয়লেট, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশসহ যত্রতত্র বসে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েক হাজার পথচারী ও ক্রেতা সাধারণ।
বাজারের ব্যবসায়ী ও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এলডিপির বাজার উন্নয়ন প্রকল্পে পিরোজপুরে দশটি মার্কেট নির্মাণের কাজ পায় মেসার্স কহিনুর এন্টারপ্রাইজ। যার মধ্যে উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌর কাঁচা বাজার উন্নয়নের ভেজা মার্কেট ভবনের মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। গত ২০২৩ সালে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। গত ৫ আগস্টের পর ইউএনও মো. মনিরুজ্জামানের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় বাজার উন্নয়নের ভেজা মার্কেটের কাজ। নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান বলেছেন, বাজারে একমাত্র খাল দখল করে ওই মার্কেট নির্মাণ হচ্ছিল। এ কারণে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সবজি বিক্রেতা মো. ইসহাক, সন্তোষ সাহা ও নুরুল ইসলাম বলেন, পূর্বে বাজারের পুরাতন টলঘরে বসে সবজি বিক্রি করতেন। নতুন টলঘর তৈরির জন্য সে ঘরটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন রাস্তা ও টয়লেটের পাশে বসে সবজি বিক্রি করছেন। এতে তাদের ও ক্রেতাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে।
বাজার কমিটির আহ্বায়ক কাজী আনিসুজ্জামান বলেন, ভেজা মার্কেটের কাজ বন্ধ থাকায় ব্যবসায়িরা রাস্তার পাশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সবজি বিক্রি করছেন। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই। বাজারের নির্মাণাধীন বন্ধ মার্কেটের কাজ শেষ করতে ইউএনও এবং জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।
স্বরূপকাঠি পৌরসভার সাবেক মেয়র শফিকুল ইসলাম ফরিদ বলেন, বাজারের নতুন টলঘর নির্মাণের সময় প্রশাসন কোনো বাধা দেয়নি। কাজ যখন প্রায় অর্ধেক শেষ, সে সময় বন্ধ করা হয়েছে। খালের অংশ দখল করে নাকি মার্কেট উঠছে। কাজ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই। শিগগিরই সুরহা না পেলে ব্যবসায়িরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।