খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে আর্থিক লেনদেন ও পরকিয়ার জেরে ২০১৪ সালে প্রবাসী শাকিল প্রকাশ মুসা (২৫) হত্যাকান্ডের শিকার হন। ১১ বছর পর তার মৃতু্যর এ রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, ওমান প্রবাসী শাকিল প্রকাশ মুসার সঙ্গে পরকিয়া সম্পর্ক ছিল ভাবী নাসিমা আক্তারের। শাকিল প্রবাসে থাকাকালীন আরেকজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ও পরবর্তীতে বিয়ে হয় নাসিমার। বিষয়গুলো ধামাচাপা দিতে এবং প্রবাস থেকে শাকিলের পাঠানো অর্থ আত্মসাতের লক্ষ্যে কৌশলে তাকে ২০১৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দেশে এনে পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় হত্যা করেন। এরপর মরদেহ ফটিকছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকায় মাটির নিচে পুঁতে রাখেন নাসিমা।

দীর্ঘ ১১ বছর পর বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে তাদের ফাঁসানোর লক্ষ্যে নাসিমা নিহত শাকিলের মাকে জানান এবং ঘটনার সাক্ষী হন। কিন্তু পুলিশের তদন্তে রহস্য উদঘাটনে নাসিমা মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে শনাক্ত হয়। বর্তমানে নাসিমা আক্তার ও তার স্বামী মনির হোসেনসহ অপর আসামি শরিয়ত উলস্নাহ এবং দেলোয়ার হোসেন দেলু কারাগারে রয়েছেন।

তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি মূলে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কিছু হাড়, মাথার খুলি ও কাপড়ের অংশ উদ্ধার করা হয়। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে যার পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।

সেচ সংকটে তাহিরপুরের ২৩ হাওড়ের ইরি বোরো ফসল

সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।