বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি জেলা গাইবান্ধা, যা রংপুর বিভাগে অবস্থিত। ২,১৭৯.১৭ বর্গকিলোমিটারের গাইবান্ধার জনসংখ্যা ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬০ জন ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী।
১৮৭৫ সালে ভবানীগঞ্জ একটি মহকুমা হিসেবে স্থাপিত হয়, একই বছর এর নামকরণ করা হয় গাইবান্ধা। ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রম্নয়ারি গাইবান্ধাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলার মর্যাদায় উন্নীত করা হয়। জেলাটি কৃষি উৎপাদন, বিশেষ করে ধান, পাট ও সবজির জন্য পরিচিত এবং যমুনা, তিস্তা এবং ব্রহ্মপুত্রসহ বেশ কয়েকটি প্রধান নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। গাইবান্ধায় সাতটি উপজেলাতেই মুক্তিযোদ্ধা কমপেস্নক্স রয়েছে।
এছাড়া জেলা সদরে গাইবান্ধা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপেস্নক্স রয়েছে। কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ভবনগুলোতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এখন যাতায়াত নেই বললেই চলে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরতে, দেশে প্রেমে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে এই ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। ভবনগুলোতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পদচারণায় মুখরিত ছিল। কিন্তু আজকে ভবনগুলোতে মুক্তিযোদ্ধাদের যাতায়াত না থাকায় এখন ভবনের দরজা-জানালা ও প্রধান ফটক ধুলোবালিতে আচ্ছন্ন।
ভবনগুলোতে রয়েছে সভাকক্ষ, পাঠকক্ষ ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের অফিস কক্ষ। ভবনের সম্মুখ দিকে তাকালে মনে হয় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপেস্নক্সটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিণত হয়েছে। ফলে মুক্তিযোদ্ধা কমপেস্নক্সের সাইন বোর্ডটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাইন বোর্ড দিয়ে ঢেকে গেছে। স্টুডিও, ইন্সু্যরেন্স কোম্পানি, ফটোকপির দোকান ও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সেখানে গড়ে উঠেছে। ভবনগুলো এখন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপ লাভ করেছে এবং কমপেস্নক্স ভবনের উদ্দেশে ব্যত্যয় ঘটেছে বলে অনেকে মনে করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী বলেন, বয়স হয়েছে, তাই আর অফিসে যেতে মন চায় না। সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী আকবর মিয়া বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভূ্যত্থানের পর বিভিন্ন অফিস-আদালত থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ফেলে দেওয়া এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অবমূল্যায়নের ফলে মুক্তিযোদ্ধারা অফিসে যেতে লজ্জা বোধ করছেন।