শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

রংপুরে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ ব্যাধি

রংপুর প্রতিনিধি
  ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
রংপুরে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ ব্যাধি

রংপুর বিভাগে ৮ জেলায় শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগে তিনশ' শিশু ও বৃদ্ধ আক্রান্ত হয়েছে। শৈত্যপ্রবাহ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই বিভাগে সর্বনিম্ন্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে রংপুরে ১০, ডায়রিয়ায় ২৯, পঞ্চগড়ে শ্বাসকষ্টে ৫, ডায়রিয়ায় ২০, ঠাকুরগাঁওয়ে শ্বাসকষ্টে ১৯, ডায়রিয়ায় ৪৪, নীলফামারীতে শ্বাসকষ্টে ১৩, ডায়রিয়ায় ৫৫, লালমনিরহাটে শ্বাসকষ্টে ১৮, ডায়রিয়ায় ৩১, কুড়িগ্রামে শ্বাসকষ্টে ৩, ডায়রিয়ায় ২৪ এবং গাইবান্ধায় শ্বাসকষ্টে ১, ডায়রিয়ায় ২৮। তবে দিনাজপুরে শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে, ১ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বিভাগে শ্বাসকষ্টে ৪ হাজার ২৩৬ জন ও ডায়রিয়ায় ১৫ হাজার ৯২৮ জন আক্রান্ত হয়েছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শয্যাগুলোতে চাপ বাড়ছে। কেউ কেউ শয্যা না পেয়ে বাধ্য হয়ে মেঝেতে ঠাঁই নিচ্ছে।

গত দু'দিন ধরে বিভাগের অধিকাংশ জেলায় ঘন কুয়াশার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সকাল থেকে রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করছে। দিন মজুরদের অবস্থা বেশি কাহিল। নগরীর বেতপট্টি, কেরানিপাড়ার চৌরাস্তার মোড়, শালবন বেগম রোকেয়া সরণী, মাহিগঞ্জ সাতমাথা, লালবাগসহ বিভিন্ন স্থানে দিনমজুররা এসে কাজ না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের রংপুরে, ঠাকুরগাঁও ও তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ৮, দিনাজপুর ও লালমনিরহাটে ১৩ এবং গাইবান্ধা ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গত দুদিন আকাশে মেঘের আনাগোনা বেশি থাকায় দিনের কম সময় সূর্যের দেখা পাওয়া গেছে। আগামীতে মেঘের আনাগোনা কমলেও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে। সাধারণত তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে উলেস্নখ করে তিনি জানান, এখনো এই বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়নি।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. হারুন অর রশীদ বলেন, শীতের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় তদের প্রস্তুতি রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সগুলোতে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত স্যালাইন এবং ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। আক্রান্তদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ফলে আক্রান্ত রোগীদের মৃতু্যর মতো কোনো ঘটনা নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে