নারায়ণগঞ্জের ফতুলস্নায় একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে আট দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আগুনে ভস্মীভূত ১৩ বসতঘর। এ ঘটনায় একজন যুবক আটককে আটক করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুলস্নায় একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে মার্কেটের আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে গিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিসাধিত হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
মঙ্গলবার রাতে ফতুলস্নার ভোলাইল মিস্টির দোকান এলাকায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
সংবাদ পেয়ে ফতুলস্নার বিসিক ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে দোকানগুলোর প্রায় সবগুলোর মালামাল পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া দোকানের মধ্যে রয়েছে-কাঁচামাল, মুদি দোকান, চায়ের দোকান ও হোটেল।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুলস্নাহ আল আরেফীন জানান, খবর পেয়ে ফতুলস্না স্টেশনের তিনটি ইউনিটে এক ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিদু্যতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে আটটি দোকানের প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে করা অগ্নিসংযোগে ১৩ বসতঘরের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসব ঘরে ১২টি পরিবার বসবাস করত। এ ঘটনায় ছালেহা বেগম নামে এক গৃহবধূ আহত হয়েছেন। তাকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাবুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার ভোরে চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল জয়নগর পাড়া এলাকায় ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম পৌঁছলেও ততক্ষণে সর্বস্ব পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- একই এলাকার লেদু মিয়ার ছেলে মো. মিয়া, মো. এহছান, সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. কালু, নবাব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মো. ইসমাঈল, মো. ইসহাক, কালু মিয়ার ছেলে মো. করিম, ইসলাম মিয়ার ছেলে জামাল উদ্দিন, মো. কবির, আবদু সাত্তার, আবদু ছবুর, আবদুলস্নাহর ছেলে হারুনুর রশীদ।
জানা যায়, পশ্চিম চাম্বল জয়নগরপাড়া এলাকার হারুনুর রশীদ ওরফে হারুন বৈদ্য'র ছেলে বাবুলের সঙ্গে প্রতিবেশী রেজাউল করিমের স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এর জেরে মঙ্গলবার বাবুল ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে রেজাউল করিমের ঘরে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করলে লোকজন আটকায়। তবে গত রাতে ওই যুবক আবার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘাঁয়। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১২ পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল স্টেশনের ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, 'আমাদের আলাদা দুটি টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তসাপেক্ষে জানা যাবে।'
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, 'উত্তেজিত জনতা থেকে বাঁচাতে তাৎক্ষণিক বাবুল নামের এক যুবককে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি পরিকল্পিত কিনা, তা খতিয়ে দেখছি। এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।'