রোববার, ০৪ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

রাজশাহীর বাজারে উধাও বোতলজাত সয়াবিন তেল

রাজশাহী অফিস
  ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
রাজশাহীর বাজারে উধাও বোতলজাত সয়াবিন তেল

সারাদেশের বাজারে চলমান সংকটের মধ্যেই গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সরকার দাম বাড়ানোর আগ থেকেই রাজধানীর বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় বোতলজাত সয়াবিন তেল। সেই প্রভাব পড়েছে রাজশাহীর বাজারেও। এখানেও উধাও হয়ে গেছে সয়াবিন তেল। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। শুক্রবার সরেজমিনে রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভোজ্যতেল পরিশোধন কোম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে না। দাম বাড়ার ঘোষণার পর থেকে আগে যেগুলো ছিল সেগুলো বিক্রি হয়ে যাওয়ায় আর বিক্রি করতে পারছি না। রাজশাহী নগরীর মুদি ব্যবসায়ী শরীফ উদ্দিন জানান, বাজারে বোতলজাত তেল মোটেই নেই। ফলে আমরা বিক্রি করতে পারছি না। ক্রেতার হয়রানি হচ্ছেন। আগামী রোববার বা সোমবার হতে পাওয়া যেতে পারে।

অপরদিকে খোলা সয়াবিন সরবরাহ আছে সেগুলো ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের কেনা পড়ে ১৬৮ টাকা লিটার। ফলে সরকার নির্ধারিত যে দাম সেই দামে বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছে না।

শুক্রবার রাজশাহী মহানগরী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রবি মৌসুমি সব রকম সবজির দাম কমেছে। সেই সঙ্গে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে অনেক বেশি। ফলে বিভিন্ন রকমের সবজি কেজিতে ১০-৩০ টাকা কমে গেছে। শিম ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ৮০ টাকা থেকে কমে ৫০ টাকায়, ফুলকপি ও পাতাকপি ৩০-৪০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু ১০০-১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

লাল ডিম ৪৪ ও সাদা ৪২ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি, সোনালি ২৮০-৩০০ ও দেশি মুরগি ৪৮০-৪৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১০৫০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ৯০-১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বড় ইলিশ ২২০০, মাঝারি ইলিশ ১৪০০ টাকা এবং ছোট আকারের ৬০০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি প্রজাতি ছোট মাছ ও নদীর মাছের দাম একই রকম আছে বলে মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে বোতলজাত তেল উধাও হয়ে যাওয়া দুঃখজনক। শীতকালীন মৌসুমি সবজির দাম কমলেও কাঙ্ক্ষিত দামে আসেনি। এক ক্রেতা বলেন, আমি ১ কেজি পেঁপে কিনলাম ৫৫ টাকায়। আগে এমন দাম হতো না। এর দাম সর্বোচ্চ ১৫-২০ টাকা হলে ভালো হতো।

ক্রেতা সাধারণের চাওয়া সরকার বাজারে সঠিক তদারকি করলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব; তবে কোনো কিছুই সেগুলো হচ্ছে না। ফলে জনগণকে খেতে হবে তাই সবকিছু সহ্য করে বাজারপণ্য কিনে পরিবার চালাতে হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে