কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ডাক্তারের চেয়ে রোগী বেশি। যেখানে ৫০ ব্যাডের হাসপাতালে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন ডাক্তার থাকার কথা সেখানে মাত্র ডাক্তার রয়েছে ২ থেকে ৩ জন। প্রতিদিন এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৪শ' থেকে ৫শ' রোগী টিকেট নেন। সেখানে রোগীরা ঘন্টার পর ঘন্টা ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। রোগীরা ডাক্তারের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ভালো মানুষও রোগী হয়ে যায়। যেন মরার ওপর খারার গাঁ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ রয়েছে। কিন্তু রোগীদের খাবার সংকট। কয়েকজন রোগী বলেন, ভাতের সঙ্গে তরকারি হিসাবে পাঙ্গাস মাছ যেন তাদের একমাত্র অবলম্বন। এদিকে রোগীদের ব্যাডে দেখতে ডিউটি ডাক্তার যেন, গড়িমসি করে অনেকসময়। এক্স-রে মেশিনটি কোন সময় চলে আবার কোন সময় বন্ধ হয়ে থাকে।
কর্তৃপক্ষ বলেন, সঠিকভাবে বিদু্যৎ না থাকার কারণে কোন কোন সময় এ সমস্যা দেখা যায়। অন্যদিকে শীত আসার পর থেকে শিশুদের ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর উপস্থিতি বাড়ছে। তা যেন কর্তৃপক্ষ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।
বাজিতপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজমুস সালেহীন বলেন, ডাক্তার সংকট রয়েছে সত্যি, তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।