খুলনা-নড়াইল-ভাঙ্গা-ঢাকা রুটের নতুন ট্রেন চালু হয়েছে। এ ট্রেন চালুর মধ্যদিয়ে খুলনা-নড়াইল ও ফরিদপুরের মানুষের রাজধানীর সঙ্গে রেল পথে যোগাযোগ আরও সুগম হল।
মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় খুলনা থেকে যাত্রী নিয়ে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এখন থেকে খুলনা-ঢাকা রুটে এখন তিনটি রুট ব্যবহার করে ৪ জোড়া ট্রেন ভ্রমণের সুযোগ মিলবে যাত্রীদের।
খুলনা-ঢাকার নতুন এ রুটে ১১টি যাত্রীবাহী কোচ ৭৬৮জন যাত্রী ও একটি লাগেজ ভ্যান নিয়ে সোমবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিন খুলনা-ঢাকা ও ঢাকা-খুলনা রুটে চলবে। কম খরচে দ্রম্নত সময়ে ঢাকায় পৌঁছাতে পারায় উচ্ছাসিত যাত্রীরা।
এর ফলে পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রেলপথে ঢাকা-খুলনার দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার, আগে যা ছিল ৪৩০ কিলোমিটার। আগে যেখানে যমুনা সেতু হয়ে যাত্রীদের যাতায়াতে সময় লাগে সাড়ে ৯ ঘণ্টা, নতুন রুটে সেই যাত্রা শেষ করতে সময় লাগবে মাত্র ৩ন্টা ৪৫ মিনিটে। নতুন এ রেল চালুর মধ্যদিয়ে নড়াইল ও ভাঙ্গাবাসী যুক্ত হয়েছে রেল নেটওয়ার্কে, যা যাত্রাপথের সময় ও ভোগান্তি কমাবে, পাশপাশি আর্থিক সাশ্রয়ও হবে যাত্রীদের।
সিডিউল অনুযায়ী, সকাল ৬টায় খুলনা থেকে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নাম নিয়ে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সকাল পৌনে ১০টায় ঢাকায় পৌঁছাবে। সকাল পৌনে ১১টায় ঢাকা থেকে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটি বেনাপোলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে। যশোর জংশন হয়ে দুপুর আড়াইটায় বেনাপোলে পৌঁছাবে।
রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস বিকাল সাড়ে ৩টায় বেনাপোল থেকে যাত্রা করে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। এরপর ট্রেনটি জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নাম নিয়ে ঢাকা থেকে রাত ৮টায় যাত্রা করে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে খুলনায় পৌঁছাবে। ট্রেনে আসন সংখ্যা ৭৬৮টি এবং বগি রয়েছে ১২টি। এরমধ্যে শোভন চেয়ার ৪০০ ভাড়া ৪৫০ টাকা, এসি চেয়ার ৩২০টি ভাড়া ৮৮৫ টাকা, এসি সিট ৪৮টি ভাড়া ৮১৫ টাকা এবং এসি বাস ১৩৩০ টাকা। এর সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত হবে।
যাত্রীরা জানান, এ ট্রেনে সকালে যেয়ে ঢাকায় অফিস করা যাবে, আবার খুলনা ফিরে আসা যাবে। ভাড়া কম থাকায় সব ধরনের মানুষ যাতায়াত করতে পারবে। তবে আগামীতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর কথাও জানান যাত্রীরা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক আফজাল হোসাইন বলেন, এ ট্রেনে চলার ফলে মানুষের সময় এবং অর্থ দুটোই কম লাগবে। আগামীতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো যায় কিনা সে বিষয়টিও পরিকল্পনা রয়েছে।