বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

কুমিলস্নায় লাঞ্ছিত বীর মুক্তিযোদ্ধা কানু আশ্রয় নিলেন ফেনীতে

ফেনী প্রতিনিধি
  ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
কুমিলস্নায় লাঞ্ছিত বীর মুক্তিযোদ্ধা কানু আশ্রয় নিলেন ফেনীতে

টক অফ দ্যা কান্ট্রি, কুমিলস্নার বাতিসায় লাঞ্ছনার শিকার হওয়া মুক্তিযোদ্ধা কানু। ওই ঘটনার ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সেদিন রাতেই ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভও নিন্দা প্রকাশ করেন।

এমনকি সোমবার খোদ প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়। কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রামের বাতিসায় লাঞ্ছিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু নিরাপত্তাহীনতার কারণে এবার এলাকা ছেড়ে আশ্রয় ও চিকিৎসা নিচ্ছেন ফেনীতে তার স্বজনদের কাছে। গত রোববার বিকেলেই তিনি কুমিলস্না থেকে ফেনীতে চলে যান বলে জানিয়েছে তার পরিবার। তবে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আইনানুগ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

1

ফেনী শহরতলীর আলকেমী হাসপাতাল এলাকায় এক নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে অবস্থান করছেন তিনি। পুলিশ ও প্রশাসন নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে চৌদ্দগ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরে আসার ইচ্ছেও রয়েছে তার। বর্তমানে ফেনী সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন বলে তার নিকট আত্মীয়রা নিশ্চিত করেছে।

এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা কানু গণমাধ্যমকে বলেন, 'যারা আমাকে হেনস্থা করেছে তারা সবাই বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের ক্যাডার। তারা আমার সারা শরীরে পা দিয়ে আঘাত করে, কিল-ঘুষি ও লাথি মারে। তারা হত্যার চেষ্টা করে ও বিবস্ত্র করে ছবি তোলার চেষ্টাও করেছিল।'

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আমার মত একজন মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চনা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'তারা আমাকে যে নির্যাতন করেছে এতে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই। আমি সরকারের কাছে এই অপমানের বিচার চাই।' আবদুল হাই কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এ ছাড়া একই সংগঠনের কুমিলস্না দক্ষিণ জেলার সাবেক সহসভাপতি। তার পরিবারের অভিযোগ, লাঞ্ছনাকারীরা স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী।

তবে শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। তাদের ভাষ্য, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাদের কেউই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী নন। তবে এখন দুই সমর্থককে বহিষ্কার করার কথা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে