কুষ্টিয়া সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এরআগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীনস্থ চিলমারী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমানা পিলার ১৫৭/২-এর এর নিকট (বাংলাদেশের অভ্যন্তরে) প্রতিপক্ষ ১৪৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের সঙ্গে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতে উভয় দেশের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সু-সম্পর্ক ও সহযোগিতার মনোভাব বজায় রেখে আলোচনা ও ঐক্যমত পোষণ করে দুই বাহিনী। বিষয়গুলোর মধ্যে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক কর্তৃক প্রতিপক্ষ ১৪৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ কমান্ড্যান্টকে জানান, মূলত চলতি মাসের গত ১৮ ডিসেম্বর চিলমারী বিওপির প্রতিপক্ষ চরভদ্রা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্য কর্তৃক সীমান্তে ফায়ারিংয়ের ঘটনার প্রেক্ষিতে এ ধরণের ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা নির্ণয় এবং পুনরাবৃত্তি রোধে যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবারের এই সৌজন্য সাক্ষাতের আয়োজন করা হয়েছে।
বিজিবি অধিনায়ক বলেন, সীমান্তে কোন ধরনের ফায়ারিং ঘটনা কাঙ্খিত নয়। এ ঘটনার বিষয়ে আরও জানতে চাইলে প্রতিপক্ষ ১৪৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ এর কমান্ড্যান্ট জানান, কাউকে উদ্দেশ্য না করে শুধুমাত্র চোরাকারবারীদের ভয় দেখানোর জন্য ফাঁকা ফায়ার করা হয়েছে।
এ ছাড়া কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক কর্তৃক প্রতিপক্ষ ১৪৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ কমান্ড্যান্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চিলমারী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিপরীতে বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে ২০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে যে পরিখা খনন করা হয়েছে তা কেন। এর প্রতিউত্তরে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট জানান, এটা শুধুমাত্র অবৈধভাবে গরু-মহিষের চোরাচালান রোধের উদ্দেশে খনন করা হয়েছে। কোন প্রতিরক্ষা কাজে ব্যবহারের জন্য না।
এ সময় বিজিবি'র পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান। ভারতীয় বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্বদেন বিএসএফ'র ১৪৬ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট বিক্রম দেব সিং।