কৃষি ভান্ডার খ্যাত উপজেলা হবিগঞ্জের লাখাই। ৬টি ইউনিয়নে কৃষিতে উদ্বৃত্ত হাওড় বেষ্টিত উপজেলা জুড়ে ইরি-বোরে মৌসুমের ব্যস্ততা নিয়ে সময় পার করছেন কৃষক। আর এই ব্যস্ততায় ফসলের মাঠে লাখাইর কৃষিতে কষকের পাশাপাশি সমানতালে নারী শ্রমিকরা কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন থেকেই।
কৃষিকাজে এ সব নারী শ্রমিক কখনো দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করেন, কখনও বা চুক্তি ভিত্তিক কাজ করে থাকেন। তবে বেশির ভাগ নারী শ্রমিক পুরুষদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করলেও সামান তালে কাজ করার পরও মজুরী বৈষ্যমের শিকার হন তারা।
উপজেলার বুলস্না করাব, গুনিপুর, লাখাই, বেগুনাই, গোপালপুর, নিদনপুর, বলাকান্দি, ভবানীপুর, মাদনা মুড়াকরি, মুড়িয়াউকসহ বিভিন্ন এলাকার হাওড়ে এসবনারী শ্রমিকগণ জমিতে পুরুষদের পাশাপাশি সমান তালে ও সমান গতিতে কাজ করেন।
লাখাইর হাওড়ে জমিতে কাজ করেন এমন নারীদের সঙ্গে আলাপ কালে জানা যায়, পুরুষদের পাশাপাশি সমানতালে কাজ করলেও দিন শেষে মজুরি বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে তাদের।
সরেজমিনে উপজেলার বুলস্না ইউনিয়নের ইরি-বোরো হাওড়ে জমিতে চারা রোপণে ব্যস্ত ৫৫ এবং ষাটোর্ধ নারী শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সংসারের কাজ করেও তারা ইরি-বোরো মৌসুমে জমিতে চারা রোপণ ও জমি নিড়ানীর কাজ করে আসছেন। এতে যৎসামান্য মজুরি দিয়ে কোনো রকম সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। মজুরির বিষয় জানতে চাইলে বলেন, চুক্তিভিত্তিক কাজ করলে দিন শেষে মজুরি সমান হারে পেলেও রোজভিত্তিক তারা ৪শ' টাকা করে প্রতি একর জমিতে পেয়ে থাকেন। তবে মজুরি কম হলেও সন্তুষ্ট এ কাজে।