দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মাঁচা পদ্ধতিতে হাইব্রিড জাতের করলা চাষ করছ প্রায় ২৭টি গ্রামের কৃষকরা। এ অঞ্চলের মাটি করলাসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষের জন্য উপযোগী। চলতি বছরে ৮০ শতক জমিতে করলা চাষ করেছেন। বর্তমানে করলার ফলন ও দাম বেশী থাকায় খুশি কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মারুপাড়া, কৃষ্ণরামপুর, সোনারপাড়া, পাবর্তীপুর, বিন্যাগাড়ী, ডাঙ্গা, কুলান্দপুর, শ্রীচন্দ্রপুর, বেগুনবাড়ি, সালিকাদহ, উত্তর দেবীপুর, রঘুনাথপুর, চাঁদপাড়া, ঋষিঘাট, সাতপাড়া, লালমাটি শ্যামপুর, ভর্ণাপাড়াসহ প্রায় ২৭ টি গ্রামের শতাধিক কৃষক করলার চাষ করছেন।
বর্তমানে সময়ে কৃষকের ক্ষেতে মাচাঁয় ঝুলছে হাইব্রিডসহ বিভিন্ন জাতের করলা। করলা ক্ষেতে সেচ, নিড়ানি ও করলা সংগ্রহ, বাজারজাতকরণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
পৌরসভা লালমাটি শ্যামপুর এলাকার মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বছর ১ বিঘা জমিতে করলা চাষ করছেন। বর্তমানে তিনি করলা মন প্রতি ১ হাজার ৬ শত থেকে ১ হাজার ৮শ' টাকা দরে বিক্রি করছেন। এ বছর বাজারদর ও আবহাওয়া ভালো থাকলে এ পরিমাণ জমিতে দেড় লক্ষাধিক টাকার মত করলা বিক্রি করতে পারবেন।
একই গ্রামের কৃষক মোজাইদুল ইসলাম বলেন, করলা চাষে গোবর সার, খৈল, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। সেই জমিতে শীতকালীন ফসল আলু করতে তাদের বেশি সার প্রয়োগ করতে হয়না।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা বলেন, জমি থেকে করলা উঠানোর পর কৃষকেরা পটল, বেগুন, মরিচ, শাক সবজি সহ বিভিন্ন জাতের সবজির লাগাতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগ স্থানীয় কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করছেন। গত বছর করলার চাষ হয়েছিল ৭৫ হেক্টর জমিতে। এবছর করলা চাষ হয়েছে ৮০ হেক্টর জমিতে। এছাড়া ও খরিফ-১ খরিফ-২ ও রবি মৌসুম মিলে ১১৭১ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন রকমের শাক-সবজি হয়েছে।