বগুড়ার সোনাতলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে চাঁদা নিতে গিয়ে অগ্রণী ব্যাংক শাখার ব্যাবস্থাপককে অকথ্য ভাষায় গালিগলাজ ও মারবার জন্য উদ্যত হয় যুবদল ও ছাত্র দলের কিছু নেতারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে এই নেতাদের জোর করে বের করে দেয় ব্যাংকের দাড়োয়ান।
ব্যাংক ম্যানেজার আজাদুর রহমানের বরাত দিয়ে সিনিয়র অফিসার সাজেদুর রহমান জানান, '৫ জানুয়ারি বিএনপি নেতা পরিচয়ে কয়েকজন যুবক এসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে চাঁদা চায়। এ সময় ব্যাংক থেকে কোন চাঁদা দেওয়ার সুযোগ নেই বললে তারা বলেন, ''এই চিঠিতে দেখছেন এখানে প্রধান অতিথি কে প্রধান অতিথি জাকির সাহেব।'' এ কথা বলেই তারা ম্যানেজারের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করতে শুরু করে। তখন কৌশলগতভাবে তিনি আমার সঙ্গে কথা বলতে বলে। এ সময় আমার সঙ্গে কথা বলে তারা ব্যাংকের নিচে চলে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আবারো ব্যাংকে প্রবেশ করে তারা ম্যানেজারকে অকথ্য ভাষায় গালিগলাজের এক পর্যায়ে মারবার জন্য তেরে যায়। আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে দারোয়ানকে বলি বহিরাগতদের বের করে দিতে। তখন দাড়োয়ান তাদের বের করে দেয়।'
সাজেদুর রহমান সুমন আরও বলেন, 'দুপুরের দিকে আমার পরিচিত কয়েকজন যেমন, সোনাতলা উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক উজ্জল হোসেন খোকন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিল রেজা বাবলা, উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ রেজা নিয়ন ও সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম শাহিন এসে ম্যানেজারের কাছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে চাঁদা চাইতে আসলে উক্ত ঘটনা ঘটে। একটা সরকারি অফিসে এসে এমন ব্যাবহারে আমরা একেবারেই শংকিত। আমি তাৎখনিকভাবে বিষয়টি বিএনপি নেতাদের জানিয়েছি দেখাযাক তারা কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।'
এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক উজ্জল হোসেন খোকন বলেন, 'আসিফ নামের ছেলেটা ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে গিয়ে শুধু চিঠিটা দিয়েছে। চিঠি পেয়েই ম্যানেজার আসিফের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করে। নিচে এসে যখন আসিফ কান্না করছিল তখন আমি গিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলি। তিনি বলেন ১৬ ডিসেম্বরসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের চাঁদা দিতে দিতে তার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমাদের সিনিয়র অফিসার সুমনের সঙ্গে বলেন। আমি সুমনের সঙ্গে কথা বলে চলে এসেছি। এর বাহিরে কিছু হয়নি।' সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ.কে.এম আহসানুল তৈয়ব জাকির বলেন, যারা অনুষ্ঠান করবে তারা নিজেদের টাকায় করবে। কোন চাঁদা নিয়ে অনুষ্ঠান কিভাবে করে। এ বিষয় আমি ওদের সঙ্গে কথা বলে দেখছি।'
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামানিক বলেল, 'অফিসিয়াল প্রোগ্রামের বাহিরে বর্তমানে আমাদের কোন ধরনের প্রোগ্রাম করার সুযোগ নেই। আমাদের নাম তারা অহেতুক কেনো দেয় সেটা আমার জানা নেই। ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে আমি থানার ওসির সঙ্গে কথা বলে দেখছি।'