শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কাজিপুরে 'কালিবোরো' রোপণে ধুম পড়েছে

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
কাজিপুরে 'কালিবোরো' রোপণে ধুম পড়েছে

যমুনার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কাজিপুরের কৃষকদের মাঁঝে কালিবোরো চাষের ধুম পড়েছে। চরের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের বিনা চাষে লাভজনক এই ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করে চলেছেন। কৃষি অফিস এই ধানকে দেশি বোরো বলে জানলেও স্থানীয় কৃষকরা কালিবোরো, সাদাবোরো, টেপি বোরো, মুখপোড়া বান্দরসহ নানা নামে এই ধানকে ডেকে থাকেন।

তবে যে নামই বলা হোক না কেন বিনা হালে এবং বিনা কীটনাশক ও সামান্য ইউরিয়া ছাড়া এই ধান উৎপাদনে তেমন খরচ না থাকায় স্থানীয় কৃষকদের নিকট সেই আদিকাল থেকে ধানটি এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করার কারণে এই ধানের চালের বেশ কদর রয়েছে।

1

জানা যায়, কালিবোরোধান ডিসেম্বরের শুরু থেকে জানুয়ারির ১০-১৫ তারিখ পর্যন্ত রোপণ করতে হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে কর্তন করা হয়ে থাকে। নাটুয়ারপাড়ার কৃষক আনোয়ার ও বিলসোন্দরের কৃষক সানোয়ার জানান, কালিবোরো উৎপাদন বিঘাপ্রতি ১২-১৪ মণ হয়ে থাকে। কৃষকরা আরও জানান, উৎপাদন খুব বেশি না হলেও উৎপাদন খরচ কম এবং ধানের চাল গুনেমানে ভালো হওয়ায় তারা এই ধান চাষাবাদ করে থাকেন।

যমুনা নদীর পানি কমার সঙ্গে০ সঙ্গে ডুবো চর, খাড়ি, পলিযুক্ত ডোবানালায় কালিবোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়। এ কারণে এই ধান চাষের লক্ষমাত্রা প্রকৃতগত ভাবেই নির্ধারিত হয়ে থাকে।

কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে ২ থেকে আড়াইশ' হেক্টর বোরো ধান চাষাবাদ হতে পারে। তিনি আরও জানান, পতিত জমিতে চাষাবাদ হওয়ার কারণে এই ধান কৃষকদের বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে