শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
পলস্নীবিদু্যতের কর্মচারীদের গাফিলাতি

চিরিরবন্দরে ভূতুড়ে বিলের বোঝা গ্রাহকের ঘাড়ে

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
চিরিরবন্দরে ভূতুড়ে বিলের বোঝা গ্রাহকের ঘাড়ে

দিনাজপুর পলস্নী বিদু্যৎ সমিতি-১-এর অধীন চিরিরবন্দর জোনাল অফিসের কর্মকর্তাদের গাফিলাতি ও বিভিন্ন সময় সফটওয়্যার নষ্ট থাকায় অতিরিক্ত ও ভুয়া বিল নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন পলস্নী বিদু্যৎ সমিতি ১ এর অধীন চিরিরবন্দর উপজেলার ৬০ হাজার গ্রাহক। বিল পরিশোধ করার পরও বিলের সঙ্গে পুর্বের কয়েক মাসের বকেয়া ইউনিটের বিল জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। ভুক্তভোগি পলস্নীবিদু্যৎ গ্রাহকদের অভিযোক, প্রায় এমন কাজ করে চিরিরবিন্দর জোনাল অফিস। কখনো বিল পরিষদ করার পরেও বকেয়া বিল যোগ করে দেয় নতুন বিলের সঙ্গে। আবার কখনো বিল বেশি করে দিয়ে বলে আগের কয়েক মাসের ইউনিট বকেয়া পড়েছে, সেটা যোগ করার জন্য বিল বেশি হয়েছে।

উপজলোর দ.পলাশবাড়ি গ্রামের পলস্নী বিদু্যৎ গ্রাহক দিনাজপুর ৪ আসনের সাবেকর এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আখতারুজ্জান মিয়া। তার বরেন্দ্র ডিপ টিউবওয়েল ও হাসকিং মিল চাতাল অফিসে এসেছে অতিরিক্ত বিল। বিল পরিষদ করার পরেও বরেন্দ্র ডিপ টিউবওয়েলে এসেছে বকেয়া বিল। এ বিষয়ে এমপির ম্যানেজার এরশাদুল ইসলাম বলেন, 'আমরা বরেন্দ্র ডিপ টিউবওয়েল দিয়ে রোপার জমিতে পানি দেই। রোপা ধান জমি থেকে কাটার পরে কারেন্টের পোল থেকে পলস্নীবিদু্যতের ট্রান্সফরমা খুলে নেই, কারন এগুলো চুরি হয়। ট্রান্সফরমা খুলে নেওয়ার আগে আমাদের বিল পরিষদ করতে হয়। না হলে ট্রান্সফরমা খুলে দেয় না তারা। আমরা বিল পরিষদ করার পরেও ট্রান্সফরমা নতুন করে আবার পোলে লাগাব তখন বলে বিল বকেয়া আছে।'

1

জগদীসপুর গ্রামের পলস্নী বিদু্যৎ গ্রাহক মোফাজ্জাল হোসেন বলেন, আমাদের বিল আসে ৫০০-৭০০ টাকার মধ্যে। গতমাস থেকে বিল আসছে ৫ হাজার টাকা করে। অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করলে জানায় আমরা আগে বিল কম লিখেছি কিছু ইউনিট বকেয়া ছিলো সে গুলো নতুন বিলের সঙ্গে যোগ হওয়ায় বিল বেশি। আমার প্রতি মাসে খরচ ১০০ বা ১৫০ ইউনিট। তখন আমার ইউনিট চার্জ ৬ টাকার বেশি হত। এখন তারা মিটারে নাকি ইউনিট কম করে লিখে জমা রাখছে। এখন আমার ইউনিট দেখাচ্ছে ২০০ ইউনিটের বেশি। এতে আমার ইউনিট প্রতি খরচ ১২ টাকার বেশি। তারা লিখবে না ঠিক মত এখন অতিরিক্ত বিলের ভোগান্তি নাকি আমাদের দিতে হবে।'

একই এলাকার পলস্নী বিদু্যৎ গ্রাহক আনছার আলী বলেন, 'আমার চার মাসের বিদু্যৎ বিল বকেয়া ছিলো ২৪০০ টাকা। ভাবছি পাঁচ মাসের বিল একসঙ্গে পরিষদ করব। এবার বকেয়াসহ বিল এসেছে ৫ হাজার টাকার বেশি। আমার গত চার মাসে বিল ২৪০০ টাকা আর এক মাসে বিল ২৫০০ টাকার বেশি। অফিসে গেলাম বলে আমার কিছু ইউনিট বকেয়া ছিল। আর কিছু অতিরক্ত লেখা হয়েছে ভুলে। এজন্য দুঃখিত।' দিনাজপুর পলস্নী বিদু্যৎ সমিতি-১-এর অধীন চিরিরবন্দর জোনাল অফিসের ডিজিএম মিনহাজ উদ্দিন শেখ বলেন, 'আমরা চেষ্টা করছি সমাধান দেওয়ার। একটা বই যে রিডিং অফিসার লিখে সে সমস্যা করছে। যারা আসছে তাদের কিস্তির মত করে ইউনিটগুলো ভাগ করে দিচ্ছি।'

প্রতি মাসে গ্রাহকদের এ সমস্যায় পড়তে হয় কেন জানতে চাইলে চিরিরবন্দর জোনাল অফিসের ডিজিএম আরও জানান, 'আমি পাঁচ মাস আগে এখান যোগদান করেছি। আমাদের গ্রাহক অনেক বেশি, সে পরিমান জনবল নেই। ৬০ হাজারের বেশি গ্রাহক। কিছু সমস্যা হয়, আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে