পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাঁচটি স্টিলের বেইলি ব্রিজ রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভাড়ি যানবাহন চলাচল করায় যেকোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে বেইলি ব্রিজের স্থলে আরসিসি ব্রিজ নির্মাণের দাবি এই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের। তবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ বলছে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু হওয়ায় সবাইকে সতর্ক করার পাশপাশি পটুয়াখালী অংশে দুটি ব্রিজ নির্মাণে তারা কাজ করছেন।

পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা এবং বিকল্প পথে বরিশাল, খুলনা যেতে এই সড়কটি ব্যবহার করা হয়। সড়কের পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ অংশে রয়েছে মোট ৫টি স্টিলের তৈরি বেইলি ব্রিজ। দীর্ঘদিনের পুরাতন ও জরাজীর্ণ এই ব্রিজগুলো এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে কিছু কিছু সংস্কার করে যানবাহন চলাচল উপযোগী রাখার চেষ্টা করলেও তা খুব বেশি কাজে আসছে না। সেতুর অনেক স্থানের স্ট্রিলের পাতগুলো মরিচা ধরে ক্ষয় হয়েছে। আর ব্রিজের নাটবল্টুসহ স্ট্রিলের পাতগুলো এখন নড়বড়ে। এমন পরিস্থিতিতে বেইলি ব্রিজ দিয়ে ৫ টনের অধিক যানবাহন না চলাচল করার জন্য ব্রিজের দুইপাশে সওজ অধিদপ্তর সাইবোর্ড দিলেও তা কোন কাজে আসছে না। অন্যদিকে পটুয়াখালী-ঢাকা মহাসড়কের লেবুখালী পায়রা সেতুতে ওয়েট স্কেল থাকায় অধিক পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করতে পারে না। তাই ২৫ থেকে ৩০ টন ওজনের ভাড়ি যানবাহন বিকল্প এই সড়ক ব্যবহার করে পটুয়াখালী থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। এ কারণে এই বেইলি ব্রিজগুলো আরও বেশি ঝঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।

পটুয়াখালী নন্দকানাই এলাকার বাসিন্দা জীবন হাওলাদার বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে স্টিলের সেতুগুলো নড়বড়ে অবস্থায় আছে। এর উপর দিয়ে ভারি ভযানবাহন চলাচল করছে। বিশেষ করে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আধারে অধিক পণ্যবাহী যানবহান চলাচল করে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা চাই স্টিলের এসব সেতুর স্থলে নতুন করে কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করা হোক।'

পটুয়াখালী সওজ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জামিল আক্তার লিমন বলেন, 'পটুয়াখালীর অংশে তিনটি বেইলি ব্রিজের মধ্যে দুটি নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে এর প্রক্কলন তৈরি করা হচ্ছে, অনুমোদন পেলে টেন্ডার আহবানসহ যাবতীয় কাজ করা হবে। এ ছাড়া অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে মির্জাগঞ্জ অংশের বাকী দুই বেইলি সেতুর স্থলেও আরসিটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।'

সেচ সংকটে তাহিরপুরের ২৩ হাওড়ের ইরি বোরো ফসল

পটুয়াখালী থেকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা হয়ে এই পথে খুলনা বাগেরহাট রুটে একটি নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগযোগ স্থাপনে পটুয়াখালী পায়রা নদীর পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় নতুন একটি সেতু নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। যে কারনে এই ঝুঁকিপূর্ন বেইলি ব্রিজ হয়ে ভারি যানবাহন চলাচলের পরিমাণ বাড়ছে।