নিত্যপণ্যের বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে গাইবান্ধায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ এবং কুমিলস্নার মনোহরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-
গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, নিত্যপণ্যের উপর বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে বুধবার বাম গণতান্ত্রিক জোট গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলা নেতা বাসদ জেলা আহবায়ক কমরেড গোলাম রব্বানীর সভাপতিত্বে মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন বাসদ মার্কসবাদী জেলা আহবায়ক আহসানুল হাবীব সাঈদ, কমিউনিস্ট লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক রেবতী বর্মন, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, ইমদাদুল হক মিলন, বাসদ মার্কসবাদী জেলা নেতা কাজী আবু রাহেন শফিউল্যাহ খোকন, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী প্রমুখ।
বক্তারা নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং বাড়তি ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে জনজীবনের নাভিশ্বাসের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, গণঅভু্যত্থান পরবর্তী ৫ মাসে জনগণের আকাঙ্খা হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে মানুষ শঙ্কিত। সেইসাথে সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থা চালুসহ সংস্কার করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণারও দাবি জানান বক্তারা। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিত উন্নতি করে জনজীবনের স্বস্তি ফিরে আনা, জুলাই হত্যাকান্ডের বিচার, নিহতদের ক্ষতিপুরণ, আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করাসহ প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবি জানান।
মনোহরগঞ্জ (কুমিলস্না) প্রতিনিধি জানান, কুমিলস্নার মনোহরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার উপজেলার কুমিলস্না-নোয়াখালি আঞ্চলিক মহাসড়কের খিলা বাজার এলাকায় খিলা আজিজ উলস্ন্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করে।
গত মঙ্গলবার ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ১৫ জানুয়ারী বুধবার এ মানববন্ধন করার কথা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় মনোহরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুনির আহমেদ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুনির আহমেদ জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শিক্ষকদের নিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠদান সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা করছিলেন তিনি। এ সময় স্থানীয় মোজাম্মেল হক মন্টুসহ অজ্ঞাতনামা ৮-৯ জন বিদ্যালয়ে এসে তার উপর অতর্কিত হামলা করে এবং এলোপাথাড়ী কিল, ঘুষি মেরে আমাকে আহত করে। এ সময় অন্য শিক্ষকরা এগিয়ে আসলে তারাও হামলার শিকার হন।
মনোহরগঞ্জ থানার ওসি বিপুল চন্দ্র দে এ ঘটনায় একটি অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেন।