ভারতের মিজোরামে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের সঙ্গে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ দাবি করেন ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'মিজোরাম পুলিশের প্রেস বিবৃতির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে মিজোরামের মামিত জেলার পশ্চিম ফাইলেং থানাধীন সাইথাং গ্রামে একটি অস্ত্রের চালান জব্দের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। জব্দকৃত অস্ত্রের চালানের মাধ্যমে মিয়ানমারের চীন ন্যাশন্যাল ফ্রন্ট (সিএনএফ) এবং ইউপিডিএফের মধ্যে লেনদেন হচ্ছিল বলে উলেস্নখ করা হয়েছে, যা আদৌ সত্য নয়।'
জব্দ হওয়া অস্ত্রের চালান বা সিএনএফের সঙ্গে ইউপিডিএফের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই দাবি করে অংগ্য মারমা বলেন, 'যে এলাকায় অস্ত্রের চালানটি জব্দ হয়েছে তা বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে এবং এই সীমান্ত অঞ্চলটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমা গ্রম্নপের হাতে। অস্ত্রের চালানটি ধরা পড়লে তা ইউপিডিএফের কাছে যাচ্ছে বলে স্বীকারোক্তি দিতে ওই অস্ত্র চোরাকারবারিদের সঙ্গে চালানগ্রহীতাদের গোপন বোঝাপড়া থাকতে পারে বলে।'
তিনি আরও বলেন, 'অস্ত্রের আসল ক্রেতারা নিজেদের আড়াল করতে ও ইউপিডিএফের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার হীন উদ্দেশ্যে জব্দ হওয়া অস্ত্রের চালানের সঙ্গে ইউপিডিএফের নাম জড়ানো হয়েছে।'
অংগ্য মারমা বলেন, 'ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন। দেশের অন্যান্য গণতান্ত্রিক সংগঠনের মতোই ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকভাবে তার সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কাজেই অস্ত্রের চালানের সঙ্গে ইউপিডিএফের জড়িত থাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।'
প্রসঙ্গত, বুধবার ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামের বাংলাদেশ লাগোয়া একটি সীমান্ত জেলা থেকে বিশাল অস্ত্রের চালান জব্দ করেছে দেশটির পুলিশ। অস্ত্রের এই চোরাচালানে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও মিয়ানমারের চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (সিএনএফ) জড়িত বলে দাবি করেছে মিজোরাম পুলিশ।
এ ঘটনায় পশ্চিম মিজোরামের মামিত জেলায় মিয়ানমারভিত্তিক বিদ্রোহীগোষ্ঠী চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (সিএনএফ) নেতাসহ অন্তত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পশ্চিম ফাইলেং থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।