হাটহাজারী পৌরসভা এলাকা থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩০ টন ময়লা আবর্জনা অপসারণ করা হচ্ছে। আর এতে ব্যবহৃত হচ্ছে তিনটি পিকআপ। তিনটি পিকআপের মাধ্যমেই সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি পৌরসভার পশ্চিমের পাহাড়ের পাদদেশে সংগৃহীত ময়লা আবর্জনা অপসারণ করা হয়। এতে যেমন সরকারের জালানি খরচ হচ্ছে তেমনি গুনতে হচ্ছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বেতন ভাতা। অথচ এ ময়লা আবর্জনা থেকেই সরকারের রাজস্বে জমা হতে পারে অতিরিক্ত টাকা। সাশ্রয় হতে পারে জালানি কিংবা বেতন ভাতা। টন টন ময়লা আবর্জনা পরিনত হতে পারে সোনায়। আর একটু উদ্যোগ নিলেই তা সম্ভব।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার ময়লা আবর্জনা পশ্চিমের দুটি পাহাড়ের পাদদেশে ফেলা হচ্ছে। পাহাড়ি ছড়া ঘেঁষে পাহাড়ের পাদদেশে ৩৯ শতকের একটি সরকারি জায়গা অপরটি মালিকানা যার পরিমান ১ একর ৩২ শতক। মালিকানা ওই জায়গায় চুক্তি করেই ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে কোন অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে না। তবে চুক্তির মেয়াদও শেষ পর্যায়। মেয়াদ বৃদ্ধির আলোচনা চলছে বলে জানান, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা বিপস্নব চন্দ্র মুহুরী। প্রস্তাবনা শুনে তিনি বলেন, সরকারি সহায়তা, টেকনিক্যাল সাপোর্ট পেলে করা অসম্ভব কিছু নয়। তিনি বলেন, সরকার চাইলে দু্থতিনটি পৌরসভা নিয়েও এ ধরনের প্রকল্প নিতে পারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সরকারি ওই জায়গায় পাহাড় থেকে নেমে আসা ছড়ার পানি প্রবাহে মাঝে মাঝে আবর্জনার কারণে বাধার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে ওই স্থান দিয়েই পাহাড়ের গভীরে মোটর সাইকেল, সিএনজি, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়। তবে দুই পাশের ময়লার পাহাড় পেরিয়ে গভীরতায় পৌঁছতে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়।
তবে একটু উদ্যোগ নিলেই চলমান অপসারণ অব্যাহত থাকলেও দুর হবে মশার উপদ্রব এবং দুর্গন্ধ। ফেলা বর্জ্যই পরিনত হবে মানুষের উপকৃত মালামালে। পৌরসভার পক্ষ থেকে করা যেতে পারে কম্পোস্ট সারের কারখানা কিংবা বায়োগ্যাস পস্নান। এতে যেমন উপকৃত হবে কৃষকসহ সাধারণ মানুষ তেমনি সরকারি রাজস্বে জমা হবে অতিরিক্ত অর্থ। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের ময়লা আবর্জনা থেকে বায়ো গ্যাস, কম্পোস্ট সারের পস্নান এমনকি বিদু্যত পর্যন্ত উৎপন্ন হচ্ছে। তাই সমাজের সচেতন অনেকেই বলেন, পর্যাপ্ত বর্জ্য যেহেতু আছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ চাইলেই উদ্যোগ নিতে পারেন।
পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল আহম্মেদ খাঁন বলেন, এ ধরনের পস্নান করতে যে জায়গা প্রয়োজন তা বর্তমানে নেই। পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) লুৎফুন নাহার শারমিন বলেন, প্রস্তাবনাটি সুন্দর। তবে যে জায়গায় ময়ল আবর্জনা ফেলা হচ্ছে তা সরকারি হলেও সরাসরি আমাদের নয়। চেষ্টা করা হবে পৌরসভার নামে লিপিবদ্ধ করার। পাশাপাশি প্রস্তাবনানুযায়ী পস্নান করার জায়গা হবে এমন জায়গা খোঁজা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, খুব সুন্দর প্রস্তাব। এতে পরিবেশও দূষণমুক্ত হবে। সরকারি রাজস্বে আর্থিক সহযোগিতা হবে।