মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী থানায় দির্ঘদিন পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হওয়ার ঘটনা উলেস্নখ করে মামলা করা হয়েছে। গত ২০ জানুয়ারী টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কুড়মিরা গ্রামের দুলাল শেখের স্ত্রী হেলানা বেগম বাদী হয়ে ২১ জনকে এজাহার নামীয় ও ২০-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে তার ছেলে কাউছারকে (১৫) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়েছে উলেস্নখ করে একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নিরীহ ছাত্রজনতার উপর নির্বিচারে হামলা চালিয়ে বহু লোককে আহত করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট সকালে উপজেলার টঙ্গীবাড়ী মাঝি বাড়ীর রাস্তার মোরে কুড়মিরা গ্রামের দুলাল শেখের ছেলে কাউছারকে কুপিয়ে জখম করে। পরে ৫ মাস পরে ওই ঘটনা নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন লিটন মাঝি, সহ-সভাপতি মানিক মিয়া বাচ্চু মাঝি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দীপু মাঝিসহ টঙ্গিবাড়ী থানায় ২১ জন এজাহার নামীয় ও ২০-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করেন।
টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি মহিদুল ইসলাম জানান, এ মামলায় আমরা একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।