চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জঙ্গলে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ছেলের দাবি জামাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন তিনি। এ ছাপড়াও কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে অটোরিকশা চালকের, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নৈশ্য প্রহরীর ও ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত-
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, মিরসরাইয়ে ছবুরা খাতুন (৭০) নামের এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ছেলে দাবি করছে তার মাকে হত্যা করে জঙ্গলে রেখে যায় মেয়ের জামাই মোবারক হোসেন। শনিবার সকালে উপজেলার খৈইয়াছড়া ইউনিয়নে পূর্ব খৈইয়াছড়া এলাকার জঙ্গল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করেনি পুলিশ।
নিহততের বড় সন্তান ওবায়দুল হক বলেন, 'তার বোনের স্বামী মোবারক হোসেন দীর্ঘদিন পরিবারের সবাইকে হত্যা করবে বলে আসছে। কাল থেকে তার মার (নিহত ছবুরা খাতুন) খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে গরু নিয়ে জঙ্গলে গেলে, এলাকার মানুষ লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেন।' তিনি দাবি করছেন, তার বোনের স্বামী মোবারক হোসেন তার মাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
অভিযুক্ত মোবারক হোসেনের ছেলে মোশাররফ হোসেন বলেন, 'আমরা ছোটবেলা থেকে নানুর বাড়ীতে থাকি। আমার মায়ের বিয়ের পর থেকে আমার বাবা মোবারক আমাদের পরিবারের তেমন কোন খোঁজখবর রাখেন না। তিনি মাদকসহ নানা খারাপ কাজের সাথে সম্পৃক্ত। আমার বাবাই আমার নানুকে খুন করেছে। আমি এই হত্যার যথাযথ বিচার চাই।'
মিরসরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নিহত ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম ও নাগেশ্বরী প্রতিনিধি জানান, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বেলাল হোসেন নামের এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নে হিরার ভিটা নামক এলাকার ধান ক্ষেত থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত অটো চালক বেলাল হোসেন ফুলবাড়ী উপজেলার খোঁচাবাড়ী গ্রামের নুরনবী মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন তারা। ধারনা করা হচ্ছে রাতে অটোরিকশা ছিনতাই করে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নাগেশ্বরী থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা জানান, ময়না তদন্তের পর আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। সেই সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা চলছে।
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে খাইরুল ইসলাম (৫০) নামে একজন নৈশ্য প্রহরীর মরদেহ শনিবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের বাম্মনদিঘী কাশিডাঙ্গা গ্রামে ঘটেছে। খাইরুল ইসলাম নেকমরদ ইউনিয়নে ফকিরটলি গ্রামের মৃত আশিরউদ্দীনের ছেলে।
জানা গেছে, খাইরুল ইসলাম নেকমরদ কাশিডাঙ্গা গ্রামের সামসুদ্দিনের হাসকিং মিলে নৈশ্য প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিনি প্রতিদিনের মত মিলে এসেছিলেন। শনিবার সকালে তার মরদেহ মিল থেকে পশ্চিমে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে মিলে মূল্যবান কোন জিনিসপত্র না হারালেও মিলের মূল গেটের তালা ভাঙ্গা পাওয়া যায় বলে জানান মিলের মলিক সামসুদ্দিন। স্থানীয়দের ধারণা, কোন সন্ত্রাসীদল এখানে ডাকাতি করতে এসেছিল। নৈশ্য প্রহরী চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি জানান, ভাঙ্গায় হাজেরা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের বামনকান্দা গ্রামের ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী নুরুল আলম মুন্সির স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের গঙ্গাধরদী গ্রামের কাসেম আলীর মেয়ে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে ওই গৃহবধূ খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। হঠাৎ রাত সাড়ে এগারোটার দিকে তার ছেলের ঘুম ভে'ে যায়। এ সময় সে তার মাকে ওড়না দিয়ে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে।