সুবেহ্ সাদেক থেকে শুরু করে রাত্র পর্যন্ত সমস্ত পানাহার থেকে নিবৃত থাকাই হচ্ছে রোজা বা সিয়াম সাধনা। বছরে পৃথিবীর মুসলমান ধর্মালম্বীরা এক মাস সিয়াম সাধনা বা রোজা পালন করে থাকেন। রোজা রেখে সন্ধ্যায় ইফতার করার আনন্দে সারাদিন না খেয়ে থাকার ক্লান্তি দূর হয় রোজাদারদের। রোজা এলেই মুসলমানদের জীবনে এক অনন্য আমেজ তৈরী হয়। কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ ও নারী সকলেই রোজা রাখে। সারাদিন খাবার হোটেল রেঁস্তোরা বন্ধ থাকে। ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে ইফতার সামগ্রী বিক্রয় নিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরী হয় পাড়া-মহলস্নায় বিভিন্ন মোড় ও বাজারে। ইফতারের জন্য পেঁয়াজু, বুন্দা, ছোলা, বেগুনী সহ মুখরোচক খাবার ক্রয়ের জন্য ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভীড় জমায় ক্রেতা সাধারণ। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত লোকজনের ভীড় বেশী পরিলক্ষিত হয় এসব দোকানে। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেট এলাকায় বাহারী ইফতার বিক্রয় করতে দেখা যায়। এবারের রমজান মাসের প্রথমদিকে কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে মেসে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের এসব দোকানে ভীড় করতে দেখা গেছে। অভিজাত এলাকায় ইফতার বিক্রির হিড়িক থাকলেও এলাকা ভিত্তিক অস্থায়ী দোকানগুলোতে ক্রেতা উপস্থিতি কমেছে বলে দোকানীরা এ প্রতিবেদককে জানান। গাইবান্ধা জেলার সাতটি উপজেলায় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জানা যায় একই অবস্থা! সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরে, ডিবি রোড, ডেভিড কোম্পানী পাড়া, পূর্বপাড়া, মধ্যপাড়া, ট্রাফিক মোড়, কলেজ রোড, পশ্চিমপাড়া, প্রফেসর কলোনী, মুন্সিপাড়া, সুখ নগর, ব্রীজ রোড ও সুন্দরজান মোড়ে ইফতার বিক্রির আশানুরুপ নহে। প্রফেসর কলোনীর ইফতার বিক্রেতা রহিদ মিয়া বলেন, বিক্রয় কম, খরচ উঠানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ট্রাফিক মোড়ের দোকানদার জাহাঙ্গীর বলেন, রমজানের প্রথম দিকে বিক্রয় ভালো ছিল, এখন কমে গেছে।