সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের বাজার বেসামাল

নুরউদ্দীন খান সাগর, চট্টগ্রাম
  ১৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

রমজানকে সামনে রেখে এবার চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে আটা-ময়দা, মুরগি, গরুর মাংস, ডিম, সবজি এবং ফলের দাম। স্বাভাবিকভাবে মাংস ও মাছের দাম বাড়ায় ক্রেতারা এখন ঝুঁকছেন সবজির দিকে। ফলে সবজির দামও এখন নাগালের বাইরে। এমন পরিস্থিতিতে চাকরিজীবী, গরিব ও নিম্নআয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।

পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে কয়েক দফায় বেড়েছে ভোগ্যপণ্যের দাম। সরকার নির্ধারিত দামে কোথাও ভোজ্যতেল মিলছে না। স্বাভাবিক হয়নি চিনির দামও। একই সঙ্গে লাগামহীনভাবে বাড়ছে চাল ও খেজুরের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ খেজুরের দাম। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে রমজানে কয়েকগুণ বেশি চাহিদা থাকে সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর ভোগ্যপণ্য ছোলার। বাড়তি চাহিদার কারণে দামও যায় বেড়ে। তবে এবার স্বস্তি মিলছে এই পণ্যে। সপ্তাহ দুয়েক আগের তুলনায় ছোলার দাম পাইকারিতে কমেছে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা।

সরকার প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েলের

দাম ১১৭ টাকা নির্ধারণ করলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা। একইভাবে সরকার নির্ধারিত ১৬৭ টাকার প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭২ থেকে ১৮০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের কারণে কমছে না চিনির মূল্য। খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১০৬ থেকে ১০৭ টাকা কেজি দরে। এখনো খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০ এবং প্যাকেটজাত চিনি ১১২ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা দরে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ভারতে যেখানে ৩৬-৩৭ টাকা, সেখানে আমাদের খরচ ও ট্যাক্সসহ হবে ৮০-৮৫ টাকার মধ্যে। এত টাকা দাম হওয়ার কোনো কারণ নাই।

রমজানে চাহিদার শীর্ষে থাকা অন্যতম খাদ্যদ্রব্য খেজুরের দাম এবার বেশ চড়া। করোনার কারণে হজ বন্ধ থাকায় গত দুই বছর ধরে দাম কম থাকলেও এবার হজ চালু এবং ডলারের দাম বৃদ্ধিতে প্রায় দ্বিগুণ খেজুরের দাম।

মিল পর্যায় থেকে শুরু করে পাইকারি আড়ত ও খুচরা বাজারে চালের মজুত পর্যাপ্ত হলেও কয়েক মাস ধরে বাড়ছে সব ধরনের চালের দাম। বস্তা প্রতি মোটা সিদ্ধ চালের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। সিদ্ধ মিনিকেটের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা। গুটি স্বর্ণা ও ইন্ডিয়ার স্বর্ণার দাম বেড়েছে একই ভাবে বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা করে।

বাজার স্থিতিশীল আছে দাবি করে এক মসলা ব্যবসায়ী জানান, জিরা এখন ৫৭৮-৫৮০ টাকা। এলাচ ১৪৩০-১৪৪০ টাকা। লবঙ্গ ১৩৩০ টাকা।

নগরীর বাজারগুলোয় মাংসের পাশাপাশি বেড়েছে সবজির দামও। গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে