আজকের যায়যায়দিন

সড়ক ও পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং দুর্ঘটনা রোধে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা 'শূন্যের কোটায়' নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সড়কে চালক, পরিবহণ শ্রমিক ও পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গৃহীত সব পদক্ষেপের জন্য সরকারকে সাধুবাদ না জানিয়ে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে শুধু সমালোচনার জন্য সরকারের সমালোচনা করে যাচ্ছে বিএনপি।

সোমবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপস্নব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সরকার সড়কে 'একটি মৃতু্যও চায় না' মন্তব্য করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে' বিএনপি দুর্ঘটনা নিয়েও 'রাজনীতি করছে'। নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে এবং মিথ্যা কথা বলতে বলতে বিএনপির অবস্থা এখন এমন হয়েছে যে, বজ্রপাতে মৃতু্য হলেও তার দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপরাজনীতিতে লিপ্ত হয়।

রোববার সকা?লে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহণের একটি বাস রেলিং ভে?ঙে নি?চে প?ড়ে ১৯ যাত্রী নিহত হ?ন। আহত হন অন্তত ২০ জন। এ ঘটনার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, 'চালকদের অযোগ্যতা, অবহেলা এবং অসতর্কতা সড়ক ও মহাসড়কে প্রতিনিয়ত মর্মান্তিক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। সরকার যোগ্যতা যাচাই না করে যেনতেনভাবে চালকদের লাইসেন্স দেওয়ার কারণে সড়ক-মহাসড়কগুলো মৃতু্যপুরীতে পরিণত হয়েছে। সড়কে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের মৃতু্য হলেও সরকারের সেদিকে কোনো ভ্রম্নক্ষেপ নেই।'

বাজার দর / কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম মাছের বাজার চড়া

মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিএনপির শাসনামলেই সড়ক যোগাযোগ খাত সবচেয়ে অবহেলিত ছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর যোগাযোগ খাতকে অগ্রাধিকার দেন এবং তার সুদক্ষ নেতৃত্বে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বৈপস্নবিক পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়েছে। এ সত্যটি স্বীকার করতেও বিএনপি লজ্জা পায়।'

তিনি বলেন, 'প্রতিটি মৃতু্যই বেদনার। আমরা সড়কে একটি মৃতু্যও চাই না। মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটা সড়কের জন্য নয়।'

মন্ত্রী বলেন, 'দেশব্যাপী জাতীয় মহাসড়কসমূহ পর্যায়ক্রমে সার্ভিস লেনসহ ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। একটি প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্ঘটনাপ্রবণ স্পট ঝুঁকিমুক্ত করা হয়েছে। অন্যান্য স্পট ঝুঁকিমুক্ত করার কাজও হাতে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাপ্রবণ সড়ক মোহনাসমূহ চিহ্নিত করে প্রকৌশলগত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থাপন করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় সাইন-সিগনাল।'

পণ্য পরিবহণ চালকদের বিশ্রামের জন্য সিরাজগঞ্জের পাঁচিলায়, কুমিলস্নার নিমসারে, হবিগঞ্জের জগদীশপুরে এবং মাগুরার লক্ষ্ণীকান্দরে ৪টি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের পূর্বে বাধ্যতামূলকভাবে পেশাজীবী গাড়ি চালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৬২,৯০০ পেশাজীবী গাড়ি চালককে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং কার্যক্রম চলমান রয়েছে।'