নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দুর্বলতা রয়েছে এমন এবং লোকালয় থেকে দূরে থাকা কারখানা রেকি করে ফ্যাক্টরিগুলোতে ডাকাতি করত চক্রটি। রাজধানীর পাশে কেরানীগঞ্জ এলাকায় এপিজ গেস্নাবাল লিমিটেডে ডাকাতির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে ওই চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরান ঢাকায় জেলা পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, বুধবার সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত সর্দার হামিদুল ইসলাম (৪০), আমিরুল ইসলাম ওরফে রাজু (৪৫), জাহিদ মিয়া (৪০), মনিরুল ইসলাম ওরফে রতন (৩২), আজিজুল হক ওরফে আজিজ ড্রাইভার (৪৮), ইস্রাফিল (৩০), সজল মিয়া (৩০) ও লুণ্ঠিত মালামাল ক্রেতা পলাতক আসামি মোশাররফের স্ত্রী রাশিদা বেগমকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আসামিরা ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত মালামাল বিক্রির জন্য মোশাররফের গুদামে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ পলাতক আসামি মোশাররফের স্ত্রী রাশিদার স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে তাদের গুদাম থেকে ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত সব মালামাল উদ্ধার করে। আসামিরা সবাই আন্তঃজেলা ফ্যাক্টরি ডাকাতচক্রের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়।
আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা ছদ্মবেশে ঢাকার আশপাশের দূরবর্তী ও নির্জন এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ফ্যাক্টরির মালামাল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেকি করে। পরে যেসব ফ্যাক্টরির অবস্থান নির্জন এলাকায় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল- সেগুলো টার্গেট করে ডাকাতি করে। এই ঘটনায় জড়িত পলাতক অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত আছে।
এর আগে, গত রোববার রাতে কেরানীগঞ্জ থানার কলাতিয়া নিপানবাড়ী এলাকায় এপিজ গেস্নাবাল লিমিটেডের কারখানার সিকিউরিটি গার্ডকে তালা লাগানোর সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪/৫ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল। সিকিউরিটি গার্ডের হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ঢেকে দেয়। ডাকাতরা কারখানার সিকিউরিটি ইনচার্জকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং হাত-পা, চোখ মুখ বেঁধে ফেলে।
এরপর ডাকাত দলের আরও ৮/১০ জন সদস্য একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ে কারখানায় ঢুকে। ডাকাত দল কারখানার ভেতরে থাকা মূল্যবান কম্বল, কোটিং ফেব্রিক্স, রেইনকোট, ফেব্রিক্স, থান কাপড়, স্ট্যান্ড স্ক্যান, সিলিং ফ্যান কাভার্ড ভ্যানে উঠিয়ে পালিয়ে যায়। এই ডাকাতির ঘটনায় ফ্যাক্টরির মালিক আবুল কালাম আজাদ অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন।