রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
ঘরের চালা মাথায় পড়ে গৃহবধূর মৃতু্য

চার জেলায় ঘূর্ণিঝড়ে বাড়িঘর লন্ডভন্ড

যাযাদি ডেস্ক
  ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে টর্নেডোর আঘাতে ২০ টিনশেড ঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লাল মিয়াপাড়া গ্রামের মেরাতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে -ফোকাস বাংলা

দেশের কয়েকটি জেলায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত তিন শতাধিক বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাছপালা ও ফসলের। পাশাপাশি উপড়ে পড়েছে বিদু্যতের খুঁটি। বেশ কিছু দোকানপাটও ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ভাঙ্গায় ঘরের চালা মাথায় পড়ে এক গৃহবধূর মৃতু্য হয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জানান, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মেরাতলী গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। কয়েক মিনিট স্থায়ী এ ঝড়ে ওই গ্রামের ছোটবড় ২০টি ঘর লন্ডভন্ড হয়। এ সময় ঘরগুলোর টিনের চালা উড়ে যায়। ক্ষতির মুখে পড়ে বেশ কয়েকটি পরিবার। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চৌধুরী বাদাল জানান, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তিতাস নদীতে একটি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়। মুহূর্তে ঝড়টি নদী তীরবর্তী মেরাতলী গ্রামে আঘাত হানে। কয়েক মিনিট স্থায়ী ঘূর্ণিঝড়ে গ্রামের কমপক্ষে ২০টি ঘর লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে ২০টি ঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন জানান, 'আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তাৎক্ষণিক ৩০ কেজি করে চাল দিয়েছি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর তাদের টাকা ও টিন দেওয়া হবে।'

জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে ২০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দিয়েছি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর তাদের ঢেউটিন ও নগদ টাকা দেওয়া হবে।' কসবা (ব্রা?হ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি জানান, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল ও মেহারী গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে ৬টি পরিবারের বাড়িঘরসহ ব্যাপক গাছপালা ভেঙে যায়।

শিমরাইল গ্রামের নৃপেন ভৈমিক জানান, ঘূর্ণিঝড়ে শিমরাইল গ্রামের দাসপাড়ার প্রদীপ দাসের ২টি টিনের ঘর দুমড়েমুচড়ে উড়িয়ে নিয়ে যায়। এ সময় ব্যাপক গাছপালা ভেঙে যায় ও বিদু্যৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

কসবা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসাইন জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ৬টি পরিবারের ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভাঙচুর হয়। এর মধ্যে শিমরাইল গ্রামের দাসপাড়ার প্রদীপ দাসের ২টি টিনের ঘর ঘূর্ণিঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে যায়। এ সময় শিমরাইল গ্রামের সরস্বতী রানি দাস, মোহন দাস, মাখন চন্দ্র দাস ও একই ইউনিয়নের মেহারী গ্রামের শিব চন্দ্র দাস ও যমুনাপাড়ার চান মিয়ার ঘরবাড়ি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিমরাইল গ্রামের দাসপাড়ার প্রদীপ দাসের ২টি টিনের ঘরের কোনো খোঁজই পাওয়া যায়নি।

লাখাই (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, ঝড়ে উপজেলার মফস্বল পলস্নী ধর্মপুর গ্রামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঝড়ে ওই গ্রামের অর্ধশতাদিক বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। পাশাপাশি বৈদুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, দুমড়েমুচড়ে মাটিতে আছড়ে পরে ছোট-বড় গাছপালা।

লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান, 'ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি অবগত হয়েছি, আবহাওয়া একটু অনুকূল হলেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাব।' তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে জানান।

ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের পর সালথা উপজেলার একটি গ্রামের অন্তত ১৮টি বসতঘর ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক বিধবা নারীর বসতঘরের ওপর বিশাল গাছ পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে গেছে। অনেক স্থানে সড়কের ওপর গাছ পড়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিদু্যতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় গোটা গ্রাম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে উপজেলার বলস্নভদী ইউনিয়নের সানাতুদী গ্রামে ঝড় আঘাত হানে। এর আগে একই দিন বিকালে আলফাডাঙ্গা উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এদিকে ভাঙ্গায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সরকারি সহায়তা নিয়ে ছুটে গেছেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।

স্থানীয় বাসিন্দা দেলায়ার হোসেন জানান, টানা বৃষ্টির মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে সানাতুদী গ্রামে ভয়াবহ ঝড় আঘাত হানে। প্রচন্ড বেগে মাত্র তিন মিনিটের ঝড়ের আঘাতে গ্রামের লিটু মুন্সী, ফারুক মুন্সী, মুরাদ মুন্সী, দবির মুন্সী, কাইউম মুন্সী, কামাল ঠাকুর, জামাল ঠাকুর, জমিলা বেগম, নিরু বেগম, ছানা কাজী, আতি কাজী ও হাফেজ মাসগির মুন্সীর অন্তত ১৮টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। এছাড়া গাছপালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই কৃষক।

ঝড়ের সময় ওই গ্রামের বিধবা লিপি বেগমের একমাত্র সম্বল সেমিপাকা একটি বসতঘরের ওপর বিশাল একটি গাছ পড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে সড়কের ওপর পড়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিদু্যতের তার ছিঁড়ে গ্রামে বিদু্যৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয় বলস্নভদী ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন ঝড়ে গ্রামবাসীর ক্ষয়ক্ষতির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে উপজেলা পরিষদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে একই দিন বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর, ব্রাহ্মণ-জাটিগ্রাম, বেজিডাঙ্গা ও টগরবন্দ ইউনিয়নের মালা, কৃষ্ণপুর-টগরবান, তিতুরকান্দি গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, 'সারাদিনের প্রবল বর্ষণের পর বিকালের দিকে মাত্র এক দুই মিনিটেরও কম সময় এই ঘূর্ণিঝড় স্থায়ী হয়। এতে দুই ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের শতাধিক কাচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ' গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছি।'

পলস্নী বিদু্যৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সেখানে কয়েকটি গ্রামে বিদু্যৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। বিদু্যতের তিনটি খুঁটি ভেঙে গেছে। অনেকগুলো আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে। আজকালের মধ্যে বিদু্যৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে। ইতোমধ্যে ভাঙ্গায় সহায়তার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ও হামিরদী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়েছে। এ সময় ঘরের চালা মাথায় পড়ে ঝর্ণা বেগম (১৯) নামে এক গৃহবধূ মারা গেছেন। তিনি হামিরদী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শাহাবুদ্দিন শেখের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পুকুরপাড়, কর্নিকান্দা, তাড়াইল ও ঈশ্বরদী গ্রামে কালবৈশাখীর ঝড়ের তান্ডবে দেড় শতাধিক বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। এ সময় ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়ে। ঘরের টিনের চালা উড়ে যায়।

আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের ৪টি গ্রামের দেড় শতাধিক লোকের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। শুক্রবার ভোরে গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করেছি। খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।'

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের ঝড়ে হামিরদী ইউনিয়নের ছোট হামিরদী ও বড় হামিরদী গ্রামের ৫০টির অধিক কাঁচা বাড়িঘর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। অনেক জায়গায় বড় বড় গাছ উপরে পড়েছে। ঢাকা-ফরিদপুর- বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী এলাকায় কয়েকটি বড় গাছ ভেঙে পড়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকে। পরে ভাঙ্গা দমকল বাহিনীর সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে সড়ক থেকে গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবু জাফর বলেন, 'এক ঘণ্টা চেষ্টার পর রাস্তা পরিষ্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করেছি।'

হামিরদী গ্রামের বাসিন্দা সায়েম মিয়া (৪৫) বলেন, দুপুর থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছিল। সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ ৫-১০ মিনিটের ঝড়ে দুই গ্রামের ৪০/৫০টির অধিক কাঁচা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা ভেঙে যায়।

ভাঙ্গা থানার ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, ভাঙ্গা উপজেলায় আজিমনগর ও হামিরদী এলাকায় আকস্মিক ঝড়ে ঘরবাড়ি ও গাছগাছালির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজিম উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের খবর শুনে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার মহোদয় সকালে আজিমনগর ইউনিয়নের পুকুরপাড় ও ঈশ্বরদী গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। ওই সময় তিনি নিজ হাতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০টি পরিবারের হাতে অর্থ বিতরণ করেছেন। তিনি বলেন, ভাঙ্গা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ঝড়ে একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা মারা গেছেন।

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কয়েক সেকেন্ডের টর্নেডোর তান্ডবে প্রায় ২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মন্দির, গাছপালা ও বৈদু্যতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ভাটিয়াপাড়া বাজারসহ ৬টি গ্রামের ওপর টর্নেডো আঘাত হানে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের টর্নেডোর আঘাতে ভাটিয়াপাড়া বাজারের দোকানপাট ও মন্দির লন্ডভন্ড হয়ে যায়, ভেঙে যায় কয়েকটি গ্রামের গাছপালা ও বৈদু্যতিক খুঁটি। বন্ধ হয়ে যায় বিদু্যৎ সরবরাহ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঝড়ের তান্ডবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের চাল উড়ে গেলেও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে