সরকারের পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধে গত এক মাসে ২১৭টি যানবাহন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, মোটর সাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ, অটোরিকশা, লেগুনা, পুলিশ ভ্যান, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স এবং ট্রেন। এছাড়া এ সময় আগুন দেওয়া হয়েছে ১১টি স্থাপনায়। এগুলোর মধ্যে আছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অফিস, কাউন্সিলর অফিস, পুলিশ বক্স, বিদু্যৎ অফিস, বাস কাউন্টার ও শোরুম। এর মধ্যে সর্বাধিক ১৩৫টি বাস আগুনে পোড়ানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার বুধবার জানান, ২৮ অক্টোবর থেকে ২৯ নভেম্বর সকাল ৬টার মধ্যে এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পুড়িয়ে দেওয়া যানবাহনের মধ্যে ১৩৫টি বাস, ৩৭টি ট্রাক, ১৬টি কাভার্ড ভ্যান, ৮টি মোটরসাইকেল এবং ২টি প্রাইভেট কার রয়েছে। এছাড়া ৩টি করে মাইক্রোবাস এবং একটি করে পিকআপ, অটোরিকশা ও লেগুনায় আগুন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেওয়ার খবর এসেছে ফায়ার সার্ভিসের কাছে। তিনটি ট্রেনেও আগুন দেওয়া হয়েছে এই সময়ে, উলেস্নখ করেন তিনি।
সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের দাবি এবং পরে তফসিল বাতিলের প্রতিবাদে বিএনপি, তাদের মিত্র দল জামায়াতে ইসলামী এবং সমমনা দলগুলো আন্দোলনে রয়েছে। বুধবার ভোর ৬টা থেকে বিএনপির ডাকে অষ্টম দফায় ২৪ ঘণ্টার অবরোধ আজ ভোর ৬টায় শেষ হয়ে শুরু হচ্ছে ২৪ ঘণ্টার হরতাল। এর আগে সাত দফায় ১৫ দিন অবরোধ এবং দুই দফায় ৩ দিন হরতাল করেছে বিএনপি-জামায়াত। এই সময়ে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অগ্নি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অষ্টম দফার অবরোধ শুরুর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় টাইলসবাহী একটি ট্রাকে, রাত সাড়ে ৩টায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ হাটিকামরুল এলাকায় একটি ট্রাকে এবং ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার শ্যামপুরের ধোলাইরপাড়ে তুরাগ পরিবহণের বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এছাড়া ভোর সোয়া ৬টায় গাজীপুরের সালনায় মিনহাজ পরিবহণের একটি বাসেও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।