সংসদ নির্বাচনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
\হ
জাতীয় সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল ও ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বুধবার রিট দায়ের করেন। সুপ্রিম কোর্টের
আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার এই আইনজীবী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ পেছানোর দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন পেছানোর সুযোগ রয়েছে উলেস্নখ করা হয়েছে লিগ্যাল নোটিশে।
ভোটগ্রহণের ৫২ দিন আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ১৫ নভেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আইনগত (হাইকোর্টে রিট) পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ঘোষিত তফসিল পেছানোর জন্য নোটিশে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অনুপস্থিত রয়েছে। যদি তারা নির্বাচনে আসতে চায় তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে নেওয়ার দেওয়া উচিত। এছাড়া নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে বিদেশিদের চাপ রয়েছে।
পদত্যাগ করা মন্ত্রীদের
দায়িত্ব বণ্টন করে
প্রজ্ঞাপন জারি
ম যাযাদি ডেস্ক
তিন টেকনোক্র্যাট (যারা সংসদ সদস্য নন) মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ায় সেসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে থাকবে। আর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব পালন করবেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। বর্তমান দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তারা এই দায়িত্ব পালন করবেন। আর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ শূন্য হলেও ওই মন্ত্রণালয়ে যেহেতু পূর্ণ মন্ত্রী আছেন, তাই সেখানে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
বুধবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। রুলস অব বিজনেসের ক্ষমতাবলে প্রধানমন্ত্রী এ দায়িত্ব বণ্টন করেছেন। এর আগে বুধবারই মন্ত্রিসভার তিন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। তারা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। আর প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টা হলেন অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বিদু্যৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী।
১৯ নভেম্বর তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন। পরদিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পদত্যাগ করা মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আর পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করে যেতে পারবেন। এখন পদত্যাগপত্র গ্রহণের মধ্য দিয়ে তা কার্যকর হলো।