বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জগন্নাথপুরে বন্যার প্রভাবে অনিশ্চয়তায় চাষাবাদ

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
আপডেট  : ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪১
জগন্নাথপুরে বন্যার প্রভাবে অনিশ্চয়তায় চাষাবাদ

দুই দফা বন্যার কারণে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় এবার সময়মতো আমনের বীজতলা প্রস্তুত করা যায়নি। ঘরবাড়ি থেকে পানি নামলেও বেশির ভাগ চাষের জমিগুলো এখনো বন্যার পানিতে ভরপুর। এতে কৃষকরা চলতি মৌসুমে রোপা-আমন ধান চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন।

জগন্নাথপুর কৃষি অফিস জানায়, এবার রোপা-আমনের মৌসুমে নয় হাজার ছয়শ' চার হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলায় চারশ' নব্বই হেক্টর বীজতলা রয়েছে তবে মাত্র ৬২ হেক্টর বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান। চারশ' ২৮ হেক্টর বীজতলা এখনো প্রস্তুত হয়নি।

1

জানা যায়, সনাতনপদ্ধতি অনুযায়ী আষাঢ়ের শেষে ও শ্রাবণ মাসের শুরুতে বীজতলা প্রস্তুত ও বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। এখনো বীজতলায় বন্যার পানি থাকায় রোপা-আমন ধানের চারা লাগানো সম্ভব হয়নি। অনেক কৃষককে বাড়ির উঠানে ও আঙ্গিনায় শুকনো জায়গায় বীজতলা প্রস্তুত করে চারাধান লাগাতে দেখা গেছে, তবে চাষের নিচু জমিতে পানি থাকায় রোপণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন এসব কৃষক। এদিকে ধীরগতিতে কমছে পানি, বীজতলা শুকাতে আরও ১৫ দিন সময় লাগতে পারে বলে কৃষকরা জানান। এই বিলম্বের কারণে আমনের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক।

জায়ফরপুর গ্রামের কৃষক নুরশ খান বলেন, আমাদের এলাকায় অধিকাংশ জমি এক ফসলি, শুধু আমন ধান চাষাবাদ হয়, বীজতলা এখনো পানির নিচে রয়েছে, এবার আমন ধান চাষ না হলে সারা বছর চাল কিনে খেতে হবে। মশাজান গ্রামের কৃষক আহমদ আলী বলেন, ঘরে বীজধান রেখে পানি কমার অপেক্ষায় আছি, বীজতলায় এখনো হাঁটু পানি।

চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের খাগাউড়া গ্রামের কৃষক বাবুল মিয়া বলেন, বোরো ধান চাষাবাদের পাশাপাশি আমাদের এলাকায় রোপা-আমন ধান চাষাবাদ হয়, এখন চাষের জমিতে বন্যার পানি, বীজতলা প্রস্তুত করার মতো উঁচু জায়গা নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কাওছার আহমদ বলেন, 'আমি যতটুকু জানি বীজতলা হয় নাই, পানির জন্য বীজতলা কেউ করতে পারে নাই। আমরা কৃষদের পরামর্শ দিচ্ছি দ্রম্নত বীজতলা প্রস্তুত করেন।

আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বীজ তলা করার সময় আছে। তবে বন্যার কোনো আশঙ্কা নাই।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে