চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় দায়ের হওয়া রেবেকা সুলতান মণি হত্যা মামলায় একজনের মৃতু্যদন্ড ও আরেকজনের যাবজ্জীবন এবং একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত এই রায় দেন।
মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. নেজাম উদ্দিন। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি ভোলার চরফ্যাশন থানার দক্ষিণ চর আইচা গ্রামের বেপারী কান্দা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রতন হাওলাদার বাড়ির মো. ইউনুসের ছেলে মো. আবদুল হালিম (৪৫)। খালাসপ্রাপ্ত আসামির নাম আবু সিদ্দিক রুবেল।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বলেন, '১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে রেবেকা সুলতান মণি হত্যা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. নেজাম উদ্দিনকে মৃতু্যদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড ও আসামি মো. আবদুল হালিমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি আবু সিদ্দিক রুবেলকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় মো. নেজাম উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মো. আবদুল হালিম পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১১ মে বায়েজিদ বোস্তামী থানার মুরাদনগর মির্দাপাড়া জামাল সাহেবের বিল্ডিং এর ৪র্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে মো. আব্দুল হালিমের নির্দেশে মো. নেজাম উদ্দিন রেবেকা সুলতান মণিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে ওই কক্ষ তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান। আবু সিদ্দিক রুবেল ঘটনাস্থলে আসামিরা রেবেকা সুলতান মণিকে হত্যা করে মরদেহ গুম করে রাখার বিষয়ে অবগত হলেও কাউকে জানায়নি। ফ্ল্যাট বন্ধ অবস্থায় দুর্গন্ধ বের হওয়ায় পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৩ মে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় তৎকালীন বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগ পত্র দেন। ২০২২ সালের ১ আগস্ট তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।