ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রকল্প এলাকায় ফিরেছেন। ফলে প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়কের অবশিষ্ট নির্মাণকাজ। প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, ৩০ জন ভারতীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রকল্প এলাকায় ফিরে সংস্কার কাজে হাত দিয়েছেন। এটি শেষ করে প্রয়োজনীয় উপকরণ আমদানির পর অবশিষ্ট অংশের নির্মাণকাজ পুরোদমে শুরু হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রকল্প নিয়ে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল তারও অবসান ঘটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পের তথ্য মতে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণে ২০১৭ সালে একনেকে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় পাঁচ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। তবে করোনা মহামারিসহ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিলম্বিত হয় প্রকল্পের কাজ। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। এই প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভারতের এফকন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ছাত্র-জনতার গণ-অভু্যত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিরাপত্তাজনিত কারণে কয়েক ধাপে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশে ফিরে যান। এতে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রকল্প নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা।
এ ছাড়া দীর্ঘদিন প্রকল্পের অধীনে থাকায় মহাসড়কে নিয়মিত সংস্কার কাজ করতে না পারায় অন্তত চার কিলোমিটার অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন মহাসড়ক ব্যবহারকারীরা। দীর্ঘ আলোচনার পর গত অক্টোরের শেষ সপ্তাহ থেকে প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভারত থেকে ফিরতে শুরু করায় বেহাল অংশের সংস্কার কাজও শুরু হয়েছে।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. শামীম আহমেদ জানান, '৩০ জন ভারতীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রকল্প এলাকায় ফিরেছেন। আপাতত সংস্কার কাজ চলছে। এটি শেষ করে পাথরসহ অন্যান্য উপকরণ আমদানির পর মহাসড়কের অবশিষ্ট অংশের নির্মাণকাজ পুরোদমে শুরু হবে।'
দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কাজে ধীরগতি সৃষ্টি হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।