বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের বিবদমান দুই পক্ষকে নিয়ে 'সংলাপের আয়োজন' করতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। বুধবার তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ আহ্বান জানান। এ শিক্ষার্থীরা নিজেদের সাধারণ ছাত্র বলে দাবি করেছেন, এবং তাদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই বলে জানিয়েছেন।
তাবলীগ জামাতের বিবাদ নিরসনে তারা কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছেন বলে জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শিশির আহমেদ তানিম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'বয়ানের অভিযোগ সাদ (মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভী) সাহেবকে নিয়ে এবং সাদ সাহেবের আমির থাকা না থাকা নিয়ে। এজন্য দুই পক্ষের মুরুব্বিদের সংলাপে আসতে হবে।'
'নির্ভরযোগ্য যারা, আমরা দুই পক্ষের মুরুব্বিরা যাদেরকে মানি.. যদি দুই পক্ষ একত্রিত হয়, তাহলে আমরা দুইজন মুরব্বির মধ্যস্থতায়, তাদের বিচারক হিসেবে রেখে সংলাপে বসে একটা সমাধানে আসতে পারি,' বলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুলস্নাহ আল মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তাবলীগ জামাতের বিভাজনের কারণে মাওলানা সাদের অনুসারীরা চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলন ১১টি দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে সাদ এবং জুবায়েরপন্থীদের বিরোধের কার্যকর সমাধান, সব পক্ষের অনুসারীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, দেশব্যাপী উগ্রপন্থা-সহিংসতা-মব জাস্টিস বন্ধ করা, সাংবাদিকসহ মুসলিস্নদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি রয়েছে।
বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের দু'টি অংশ 'জুবায়ের' ও 'সাদ'পন্থীদের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে দ্বন্দ্ব চলছে, যা এর আগে কয়েক দফা সংঘর্ষে গড়িয়েছে।
সর্বশেষ ১৭ই ডিসেম্বর টঙ্গীর তুরাগ তীরে অবস্থিত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধশত অনুসারী আহত হয়েছেন।
সবশেষ মঙ্গলবার কাকরাইল মসজিদ প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভীর অনুসারীদের নিষিদ্ধের দাবি করেছেন মাওলানা জুবায়ের আহমেদের অনুসারীরা।