বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, মানুষ পরিবহণ সেক্টরের নাম শুনলেই চাঁদাবাজ ও মাফিয়া সেক্টর মনে করে। জনগণের ভেতর এমন একটি ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, পরিবহন সেক্টর থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা লোপাট করছে। এ তকমা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিমুল বিশ্বাস বলেন, 'পরিবহণ সেক্টর হচ্ছে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এখানে লাখ লাখ পরিবহন শ্রমিক ও তাদের পরিবারের জীবিকা নির্ভরশীল। আজকে কেন মানুষ পরিবহন সেক্টরকে ভালোভাবে গ্রহণ করে না? এ সেক্টরে একেবারেই যে চাঁদাবাজি হয় না, তা বলব না। কিন্তু গুটিকয়েক চাঁদাবাজের কারণে পুরো পরিবহন সেক্টর কলঙ্ক বহন করতে পারে না।'
তিনি বলেন, 'বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পরিবহন জগতেও একনায়কতন্ত্র গড়ে তুলেছিল। তাদের আস্থাভাজন ছাড়া কেউ কোনো রোড পায়নি। পেলেও দিতে হয়েছে মোটা অংকের অর্থ। যার কারণে সাধারণ পরিবহন ব্যবসায়ীরাও এখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দেশ এখন বৈষম্যমুক্ত। আমরা পরিবহণ সেক্টরে আর এই বৈষম্য দেখতে চাই না, চাঁদাবাজি এবং টার্মিনাল দখলের লড়াই দেখতে চাই না।'
সভায় সারাদেশ থেকে দুইশ ৬৫ বেসিক ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা পর্যায়ের নির্বাচিত সড়ক পরিবহণ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রহিম বক্স দুদুর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির খান, শ্রমিক নেতা সজিব আলী, অলি আহমেদ, রবিউল ইসলাম রবি, আব্দুল হামিদ মিঠুল, জুবায়ের জাকির, মোহাম্মদ মুসা, আবুল বাহার, এম, জেনারেল ইসলাম, সুলতান আহমেদ, মোমিনুল হক লাভলু, মোহাম্মদ বালা মিয়া, রফিকুল ইসলাম পাখি, মইনুল ইসলাম, সুলতান আহম্মেদ সরকার, টিপু সুলতান ও আজম চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত শ্রমিকসহ সড়ক পরিবহণ সেক্টর, চট্টগ্রাম বন্দর, নির্মাণ সেক্টর ও শিল্প কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রেখে শিল্প উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।