স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেছেন, সানজিদা আক্তার নামের ভদ্রমহিলা এক মাসের অধিক সময় ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি বাসার আশেপাশেই চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি হন। এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুসারে বলা যায় এইচএমপি ভাইরাসের কারণে মৃতু্যর ঘটনা খুবই বিরল। এবং উনি ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হন এবং পরবর্তীতে তার মাল্টি অর্গান ফেইলিউর হয়। এছাড়া উনার অবিসিটি থাইরয়েড ডিসফাংশন ছিল। তার মৃতু্যতে আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।
এইচএমপি ভাইরাস প্রাণঘাতী নয় উলেস্নখ করে তিনি সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে চলার আগহার জানান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। সানজিদা আক্তার নামের রোগীর মৃতু্য এবং এইচএমপি ভাইরাসের বিস্তার, রোধ করণীয় নিয়ে কথা বলার জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, 'সারাদেশের মানুষকে আমি এ কথাটাই বলতে যে এই ভাইরাসে সাধারণত মৃতু্য ঘটে না। ভাইরাসের কারণে মানুষের মৃতু্য ঘটছে না। আশেপাশের দেশে এই ভাইরাসের বিস্তার ঘটছে। এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ আন্তর্জাতিক এজেন্সিগুলোর স্বাস্থ্যবিষয়ক কিছু গাইডলাইন আছে। এখন এই সময়ে যিনি যদি কেউ ফ্লুতে আক্রান্ত হন তিনি যাতে জনসম্মুখে না আসেন এবং জনসম্মুখে মাস্ক পরিধান করেন। এবং কেউ যদি অসুস্থ বোধ করেন তখন তিনি যাতে ঘরে থাকেন। এগুলো অন্যান্য দেশেও প্রচলিত আছে এবং এসব পরামর্শকে রেস্পেটরি এটিকেট বলা হয়। আমি শুধু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই আপনারা শুধু অসুস্থ বোধ করলে ঘরে থাকবেন এবং অনেক মানুষের ভেতর গেলে মাস্ক পরবেন।'
বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, 'সাধারণত সিজনাল ফ্লু যেগুলো হয় এ ভাইরাসের লক্ষণ ঠিক তেমন। যেমন সর্দি,কাশি, শরীর ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া। সাধারণ ফ্লুয়ের সাথে এটার কোন পার্থক্য নেই। এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ হেলথ এজেন্সিগুলো থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পুরোনো গাইডলাইন আছে সেখানেও কিছু কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেগুলোকে কোনোভাবে সতর্কতা বলা যাবে না। এই ভাইরাস অনেক আগে থেকেই আছে এবং সেটা প্রাণঘাতী না। আরেকটা জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হচ্ছে ঘন ঘন হাত ধোয়া। অসুস্থ হলে হাত ধোয়া এবং জনসম্মুখে মাস্ক পরা দুইটা যদি করা যায় তাহলে এই ভাইরাসের বিস্তার রোধ করা যাবে।'
প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, আইসিডিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন উপস্থিত ছিলেন।